এম এ সালাম কাতার প্রতিনিধিঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাস, দোহা কর্তৃক আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে একটি আলোচনা ও পুরস্কার বিরতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় ২৪ ডিসেম্বর দূতাবাস প্রাঙ্গণে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সর্বস্তরের প্রবাসীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব মাহাদি হাসান-এর সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক প্রদত্ত বানী পাঠ করে শুনানো হয়। এরপর দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব তনময় ইসলাম দূতাবাসের শ্রম ও কল্যাণ সেবা বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন।
আলোচনা পর্বে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ দূতাবাসের কার্যক্রম ও সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দূতাবাস কর্তৃক হাসপাতাল, জেলখানা, ডিপোর্টেশন সেন্টার নিয়মিত পরিদর্শন ও প্রবাসীদের সমস্যা নিরসনে দূতাবসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এছাড়া তাদের বক্তব্যে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ ও হুন্ডি প্রতিরোধের বিভিন্ন পরামর্শসহ দুতাবাসের নিকট কিছু দাবী উঠে আসে।
দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লক্ষ শহিদ, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ০২ লক্ষ নির্যাতিত মা বোনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে “ থাকব ভালো, রাখব ভালো দেশ, বৈধপথে প্রবাসী আয়-গড়ব বাংলাদেশ ” যে স্লোগানটি নির্ধারণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। কমিউনিটির দাবীসমূহ যথাশীঘ্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা হবে মর্মে জানিয়ে তিনি বলেন প্রবাসীদের সেবায় দূতাবাস সর্বদা নিয়োজিত। ইতোমধ্যে দূতাবাসের বেশ কিছু সেবা অনলাইনে আনা হয়েছে। কমিউনিটির সার্বিক সহায়তা কামনা করে তিনি জানান কমিউনিটিকে সাথে নিয়েই দূতাবাসের পথচলা। বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণ ও হুন্ডি প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিসহ এ ব্যাপারে সকলকে সহযোগিতার জন্য তিনি আহবান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণকারী ০৭ জন প্রবাসীকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তগণের মধ্যে ০১ জন তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এ ধরনের সম্মাননা প্রদানের জন্য তিনি দূতাবাসের প্রতি কতৃজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।