আবু নাঈম,বোয়ালখালী প্রতিনিধি :
বোয়ালখালীতে আমানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলছে ধান কাটা। কৃষকের ঘরে ঘরে এখন নতুন ফসল তোলার আনন্দ। ধান কেটে মাড়াই শেষে এখন গোলা ভরার অপেক্ষা। এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা চাইতে আবাদ কিছুটা কম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪হাজার ৮শত ৫০ হেক্টর। জুন জুলাইতে বৃষ্টি না হওয়ায় আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৭শত ৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ২শতাংশ জমিতে আমন আবাদ কম হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমন ধান কাটা চলছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বোয়ালখালী পৌরসভা, পোপাদিয়া, আমুচিয়া, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ, কড়লডেঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।
সোমবার সারোয়াতলী ইউনিয়নের কঞ্জুরী এলাকায় গেলে কথা হয় তপন কান্তি দের সঙ্গে। আট জন শ্রমিক নিয়ে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তপন কান্তি দে বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় শঙ্কায় ছিলাম বেশী। কিন্তু এবার আমন ক্ষেতে কোনো রোগবলাই দেখা দেয়নি। এতে ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার আমন চাষে ৫২হাজার খরচ হয়েছে ফলন ভালো হওয়ায় দ্বিগুণের কাছাকাছি লাভের আশা করছি।’
কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের আহলা দরবার শরীফ এলাকার কৃষক কৃষক আব্দুর শুক্কুর বলেন, ‘অন্যান্য বছর আমন মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু এবারে বাম্পার ফলন হওয়ায় আমরা সবাই বেশ খুশি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ বছর উপজেলা শ্রীপুর-খরণদ্বীপ, আমুচিয়া, কড়লডেঙ্গা কিছু কিছু এলাকা আমন আবাদ কম হয়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রার চাইতে প্রায় ২ শতাংশ কম হয়েছে। তবে যে জমিগুলোতে আবাদ হয়েছে তাতে ভালো ফলন হওয়ায় লাভবান হবে কৃষক।