ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ শিল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশগুলোর কারণেই বাংলাদেশ আজ মারাত্মকভাবে ঝুঁকিতে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় তহবিল প্রয়োজন। কিন্তু এ ক্ষতিপুরণ দিতে শিল্পোন্নত দেশগুলো ভুমিকা চুপচাপ।
আমরা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার থেকে দাবি জানাচ্ছি, জলবায়ূ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য তহবিল চাই, চাই জলবায়ূ ক্ষতিপুরণ । ক্ষতিপুরণ পাওয়ার অধিকার রাখে বাংলাদেশ।
প্রথম আলো বন্ধুসভার ২৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার ( ১৫ নভেম্বর) দুপুরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ‘ জলবায়ু বিপযয়, সবাই মিলে করবো জয়’ শ্লোগানে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এমন দাবি তুলে ধরেন।
জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিকর দিক এবং কারণসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, কক্সবাজার (উত্তর) বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন, প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান আব্দুল কুদ্দুস রানা। জলবায়ূর ক্ষতিকর দিক ও ঝুঁকি মোকাবিলায় ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন প্রধম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা ও নোঙর-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদরুল আলম রাশেদ।
অনুষ্টান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভা কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক উম্মে সাদিয়া হোসেন সিকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, বন্ধুসভা কক্সবাজার সিটি কলেজ শাখার সভাপতি মো. আবদুল্লাহ ও কক্সবাজার সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মোরাদ মুক্তাদির ত্বোহা প্রমুখ।
দিন ব্যাপরী কর্মসূচির মধ্যে ছিল সৈকত ভ্রমণে আসা পযটকসহ নানা শ্রেণিপেশার পাঁচ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা ও ফিজিও থেরাপি সেবাদান, মাস্ক বিতরণ, তিন কিলোমিটার সৈকত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সমুদ্রে নিরাপদ গোসলের বিষয়ে পযটকদের সতেচনমূলক প্রচারণা চালায় বন্ধুসভার সদস্যরা।
দূষণের সিংহভাগ দায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর। অথচ তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক উঞ্চায়নে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উপকূলীয়াঞ্চল তলিয়ে যেতে পারে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে কক্সবাজার উপকূলের ১৫ লাখ মানুষ। আমরা বাসযোগ্য পৃথিবী চাই।