
ইসমাইল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ
দ্রুত সেবার নামে ডাচ-বাংলা “ফাস্ট ট্রেক” থেকে প্রতি মাসে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। তারা জানান, সাধারণত আমরা বেতনের টাকা উত্তোলন করি প্রতি মাসের ৬ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে। এই ৩ দিনই এটিএম বুথের নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি সমস্যা করে।
গ্রাহকেরা জানান, সাধারণত আমাদের বেতনের টাকা জমা হয় মাসের ৫ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে। আর টাকা উত্তোলন করি প্রতি মাসের ৬ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে। এ সময় ফাস্ট ট্র্যাকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখা যায়, ‘নেটওয়ার্ক ব্যস্ত’ অথবা ‘আউট অব নেটওয়ার্ক’ লেখা আসছে। মাসের অন্যান্য সময়ও নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকে। তবে সেটা সহনীয়। কিন্তু ৬ থেকে ৮ তারিখের বিড়ম্বনা অসহনীয়। কারণ এই সময়টাতে আমাদের বাসাভাড়াসহ মাসের যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ করতে হয়।
চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের জয়নাল নামে একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক তাদের একটি নতুন ব্যবসায়িক ফাঁদ। এই চমক দিয়ে তারা গ্রাহক বাড়াচ্ছে। অথচ গ্রাহক অনুপাতে সার্ভারের স্পীড বাড়াচ্ছেনা।
চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকার ফাস্ট ট্র্যাকটি গত শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬ টায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সবগুলো বুথেই ‘আউট অব সার্বিস’ লেখা। দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এখন নেটওয়ার্ক কাজ করছেনা; পরে আসেন। এই বলেই তিনি দায়িত্ব শেষ করেন।
এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল কাস্টমার সার্বিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার জনাব সুবির দত্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দৈনিক দেশ বার্তা’কে জানান, এমনটি হওয়ার কথা না। আমাদের গ্রাহক বৃদ্ধির সাথে সাথে নেটওয়ার্ক উন্নয়নের কাজও চলমান আছে। তারপরও মাঝে মাঝে অনাকাঙ্খিত কিছু সমস্যা হাতে পারে।
এ জাতীয় আরো খবর..