জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চন্দনাইশের ৭ ইউপি’তে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা, সাময়িক ভোটগ্রহণ বন্ধ, সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্য প্রার্থী, কনস্টেবলসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে চন্দনাইশ ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
৫ জানুয়ারি চন্দনাইশের ৭ ইউপি নির্বাচনে দুপুরে হাশিমপুর ৪নং ওয়ার্ডের মধ্যম হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট নিতে গেলে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ কেন্দ্রে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। এসময় ভোটার রমজান আলী (৬৩) আহত হয়। তাকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। অপরদিকে দুপুরে দক্ষিণ হাশিমপুর জাতীয় তরুণ সংঘ সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ ইউপি সদস্যের ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘন্টাকালব্যাপী ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে। অপরদিকে বৈলতলীর উত্তর জাফরাবাদ দায়েমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলালের চাচা ইলিয়াছ চৌধুরী (৬৫), অপর একটি কেন্দ্রে রনি তালুকদার (৩১), টিপু দাশ (২৬), বিলপুরের ইমন মল্লিক (২০) আহত হয়। অপরদিকে কাঞ্চননগরের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী রেজাউল করিম তালুকদার (৫১) (বৈদ্যুতিক পাকা), চন্দনাইশ থানার কনস্টেবল তানভীর (২৪) আহত হলে তাদেরকে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এসকল ব্যাপারে নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনায় সাময়িক ২/১টি কেন্দ্রে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেছেন, কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি এবং হতাহত হয়নি। পুলিশের ফাঁকা গুলির বিষয়টি অস্বীকার করেন।