মোহাম্মাদ আনিছুর রহমান ফরহাদ,ব্যুরো চীফ,
নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করাই আমার মূল কাজ। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বন্দরনগরী মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারে জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। ৬৩টি খালের কাজ একসাথে শেষ না করলে নগরবাসী জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্তি পাবে না। বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং নগরের অসুস্থ ড্রেনেজ অবকাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। মেগা প্রকল্পের ৩৫টি খালের পাশাপাশি বাকি ২৮টি খালের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করে ডিপিপি তৈরি করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেছি। ইতোমধ্যে ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওয়াসার পাইপ লাইন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন গ্যাস লাইন পাইপগুলো ড্রেন বা কালভার্টের নিচ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছি। সিএস খতিয়ানে খালগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও সেখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরনের স্থাপনা রয়েছে। এই দখলকৃত খালগুলো চিহ্নিত করে এগুলো অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে। ময়লা, আবর্জনা ও পলিথিন ড্রেনে না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই। ড্রেনেজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার উন্নয়ন, যা ভবিষ্যতের ক্ষতি থেকে নগরীর নিষ্কাশন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নগরীর বাসিন্দাদের ক্রমাগত দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য নিষ্কাশন অবকাঠামোর দ্রুত এবং কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।