বঙ্গবন্ধুর খুনি তমা শিকদারের মা শেফালী বেগম ওরফে আমেনা বেগম নর্তকী হয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু সহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে খুন করার জন্য হাসানাত আবদুল্লাহ এর সাথে সাথে ঢুকেছিল ব্যাক্তিগত সহকর্মীর পরিচয় দিয়ে । হাসানাত আব্দুল্লাহ জানতেন না যে এমন একটা ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম জঘন্যতম ঘটনা ঘটবে বা ঘটতে যাচ্ছে ।
শেফালী বেগম সন্ধ্যার পরপর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এ ঢুকার সাথে সাথে নিজের ইচ্ছায় কারো সিদ্ধান্ত ছাড়াই একা একা বন্ধুকধারী বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা প্রহরীদের কাছে গিয়ে বলা শুরু করে ……… আপনাদের বন্দুক এর এই অবস্থা ক্যানও ? জং ধরা মরিচা পরা বন্দুকে কি গুলি আছে ? আর গুলি থাকলেও তা কি ব্যাবহার হয় ? কোনোদিন গুলি করছেন ? কই আমাকে একটা গুলি করেন তো । নিরাপত্তা প্রহরীরা তখন হেসে হেসে বলে —— ম্যাডাম আপনাকে গুলি করলে হাসানাত আব্দুল্লাহ স্যার আমাদের চাকরী খেয়ে ফেল্ববে আর গুলি করে সবাইকে মেরে ফেলবে ।এই কথার পরে এক ফাঁকে শেফালী বেগম বলে উঠে আপনাদের বন্দুকের গুলি কি জং পরা ? একবার যদি দেখান তাহলে ফ্রি আনন্দ ফুর্তির ব্যাবস্থা করে দেবো রাতে । আমি নিজে নিয়ে আসবো সকল মদ ও ফুর্তির পাখি । ব্যাস যেই কথা সেই কাজ । বন্দুকের গুলি একটা একটা করে খুলে বের করে শেফালী বেগমের ব্যাগে দিয়ে দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা প্রহরীরা । আর বঙ্গুকের ভীতর থেকে মরিচার লাল গুরা কালো জং পরা কিছু বের হয়ে আসতে দেখে সকল বন্দুক সাবান দিয়ে ধোয়ার ব্যাবস্থা করার কথা বলতেছে শেফালী বেগম নিজ হাতে ।
শেফালী বেগম তখন ৩ বাচ্চার মা ( ২ ছেলে ও ১ মেয়ে অর্থাৎ তানিয়া আক্তার তমা ওরফে তমা শিকদার ) । যে কথা সেই কাজ শুরু হলো বন্দুক ধোয়ার কাজ । আর আজকে রাতে স্যারের বাসায় সকল আত্মীয় স্বজন যেহেতু আছে নিরাপত্তার অভাব হবেনা । আর এখন আর সর্বহারা কেউ জিবিত নেই । এই কথা বলতেছে নিরাপত্তা প্রহরীরা আর শেফালী বেগম ওপেন আপনাদের কথাই সঠিক । কারন প্রধান টার্গেট শেফালী বেগমের ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের নিরাপত্তা প্রহরীদের হাতের বন্দুকের গুলি ও বন্দুক সরানো । আর বিশেষ মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার কে হত্যার সময় যেনো কোনো নিরাপত্তা প্রহরী বন্দুক হাতে না নিতে পারে বা গুলি চালাতে না পারে । এখানে শেফালী বেগম খোন্দকার মুস্তাকের বুদ্ধি ও নিজের সিদ্ধান্ত কাজে লাগিয়েছে এবং ১৫ ই আগস্ট রাতে খোন্দকার মুস্তাক ধানমণ্ডি ৩২ এ উপুস্থিত ছিলেন । সাথে ছিলেন পাকিস্তানী কিছু মেহমান আর মন্ত্রীসভার প্রায় সকল মন্ত্রী ।
১৫ ই আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের রাতে ওপেন লিডার ছিলেন খোন্দকার মুস্তাক আর হাসানাত আব্দুল্লাহ ছিলেন আরালের লিডার এবং শেফালী বেগম ছিলেন প্রধান চরিত্রে । হাসানাত আব্দুল্লাহ এর অনুমতি চাইছিলো বারবার মুস্তাক আর শেফালী বেগম যে ……… বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার কে দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য । হাসানাত আব্দুল্লাহ বললেন —– দুনিয়া থেকে সরাইয়া লাভ নাই , বরং উল্টা লস । দুনিয়ার বুকে ও ইতিহাসে কলঙ্ক নিয়ে মরে জেতে হবে এবং সাধিনতার অর্থ ও অর্জন মিথ্যা প্রমাণিত হবে আর পাকিস্তানীরা আবার আসবে বাংলাদেশ দখল করতে । তার চেয়ে যার যার প্রাপ্য অংশ তা দলীলে লিখে নিলেই তো সমস্যা সমাধান । আর হাসিনার কাছে কৈফিয়ত দিতে পারবোনা । কি জবাব দেবো হাসিনার সকল প্রশ্নের উত্তরে ? আমার প্রথম ভালোবাসা বলে কথা । আর শোন মুস্তাক পরবর্তী নির্বাচনে হাসিনাকেই দাড় করাচ্ছি এটাই ফাইনাল , একেবারে চুপচাপ থাক । আর দলীল নিয়ে আয় আমি এই ফাকে মদ আর টাস খেলি আর একবার বিরক্ত করবিনা এই দেখ গুলি , আর মুস্তাক বলে গুলি তোর কাছে আছে আমাদের কাছে কি নাই এই দেখ গুলি আর শোন গুলির আওয়াজ ঠাস ঠাস ঠাস গুলির শব্দ করে হাসতে হাসতে ।
মদের বোতলের ও খাবারের গাড়িতে করে অনেক অস্র ও বন্দুক নিয়ে আসছি আমি মুস্তাক ভুল করিনা তো । কাঁচা কাম করার লোক না মুস্তাক । তোর কাম তুই কর আমার কাম আমি করি মুস্তাক বলে হাসানাত কে । এর পর মুস্তাক দলীল নিয়া শেফালির কাছে গেছে এবং বলে মুস্তাক এই নে শেফালি তোর টাকা এই দলীল এই নে কাটা বন্দুক এই নে মদের বোতল । মদের বোতল দিতে গেছে সাথে মাংস ভুনা এবং মদের বোতল থেকে গ্লাসে মদ দিয়ে বলে স্যার এই নিন বিদেশী জুস আর গোস্ত ভুনা । গোস্ত ভুনা খায়নায় মদের গ্লাস এর গ্রান খুব সুন্দর বলে খুকি আরো এক গ্লাশ দিয়ে তুমি চলে যাও আর এসো না । আমার পরিবার এসব পছন্দ করেনা । মদের গ্লাসে বা মদে বেহুস করার কিছু ছিলো না । কিন্তু দলীলে সই না করলে ত লাল কুঠিরের সম্পত্তি তো আর হাতে আসবে না । খোন্দকার মুস্তাক যে সকল সম্পত্তির দলীল শেফালীর হাতে দিছে তাতে শেফালীর নাম নাই অর্থাৎ শেফালী বাংলাদেশের কোন সম্পত্তির অংশ পাবে না । কিন্তু লাল কুঠির তো শেফালির নামে চাই ( আর শেফালীর লাল কুঠিরের ৩ ভাই ( ছোটো ভাই নেহার লাল জীবিত আছেন ) এর সকল সম্পত্তি নিজের নামে চাই ) । কিন্তু রাত বেড়েই চলেছে দলীলে সই নেয়া হয়নায় এখনো । ৩ টা বাজে আবার শেফালি আবার বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে দেখে এখনো কি জেনো লিখতেছে খুব মন দিয়ে , আর বোঝার বাকি নেই যে শেফালির যৌবনের দিকেও বঙ্গবন্ধু নজর দিবেনা আর দলীলে সই করে লাল কুঠিরের সম্পত্তিও পাবেনা । বাকী যে সকল দলীল হাতে তা তো পরেই থাকবে । আর ঠাস ঠাস ঠাস গুলি করে শেফালী বেগম বঙ্গবন্ধুর বুকে দুয়ারে শিরির কাছে । বঙ্গবন্ধু দৌড়াইয়া আসছিলো শিরির কাছে । বেগম ফজিলাত্তুন্নেছা দৌড়াইয়া আসছিলেন আমাকেও মারো আমি একা থাকতে পারবনা ।
বঙ্গবন্ধুর বুকে প্রথম গুলি করেছিল খুনি তমা শিকদারের মা শেফালী বেগম ওরফে আমেনা বেগম , এই খুনির ঠিকানা স্বামীঃ মৃত ডাক্তার আজাহার উদ্দিন , শাহাপারা , ভাটিখানা , কাউনিয়া থানা , জেলাঃ বরিশাল ।সবাইকে নির্মমভাবে গুলী করে খুন করার পরে হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছিলো শেফালী বেগম । লাশ গুলো শক্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশের আর্মিরা বঙ্গবন্ধুকে উদ্ধার করার জন্য ঘরে ঢুকেছিল । তখনো শেফালী বেগম ভিতরের রুমে বসে মদ খাচ্ছিলো আর কাজ সাকসেস কাজ সাকসেস বলে বলে নাচতেছিলো । ১৫ ই আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুর বাসার সকল নিরাপত্তা প্রহরীর বন্দুকের গুলি খুলে রেখেছিলো খুব গোপনে সূক্ষ্ম ভাবে । জাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ জীবিত থাকতে না পারে । কারন লাল কুঠিরের সকল সম্পত্তি সরকারী সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু । ১৫ ই আগস্ট সকালে বঙ্গবন্ধু নিজে গিয়ে হাই কোর্টে লাল কুঠিরের বিরুদ্ধে ফাইনাল ভাবে দলিল জমা করার কথা ছিলো । এই জন্য খুনি তমা শিকদারের মা লাল কুঠিরের মেয়ে নর্তকী হয়ে স্ব পরিবারে সবাই কে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সার্থক ভাবেই সকল কাজ করে । হত্যা করার পরে কেউ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুজে বের না করতে পারে সে জন্য পাকিস্তানী হাই কমিশনার ও ব্রিটিশ হাই কমিশর দের ব্যাবহারিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টর্চার শেলের সফটওয়্যার চুরি করে নিয়ে ব্রেইন ও হার্ট করাপটেড করার ও সকল সত্য সৃতি মুছিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছে । আর এখন পর্যন্ত তাই বঙ্গবন্ধুর সকল খুনিদের খুঁজে বের করতে কেউ পারেনায় । যদিও খুঁজে কেউ বেড় করে সাথে সাথে যত প্রকার মিথ্যা নাটক / শারিরিক অত্যাচার / শারীরিক সম্পর্ক / পাকিস্তানী টর্চার শেলের সফটওয়্যার দরকার সব কিছু করেছে লাল কুঠির অভিনেত্রী – নর্তকী দিয়ে হোক পেশাধারী পতিতা দিয়ে হোক পেশাধারী খুনি দিয়ে হোক মাদক সেবন করিয়ে হোক বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হোক সুন্দরী নারী দিয়ে হোক …… লাল কুঠিরের সম্পত্তি যেনো সরকারী দখলে না যায় ।
আর বর্তমানে বিষাক্ত ইনজেকশন মিথ্যা নাটক / শারিরিক অত্যাচার / শারীরিক সম্পর্ক / পাকিস্তানী টর্চার শেলের সফটওয়্যার দরকার সব কিছু করেছে লাল কুঠির অভিনেত্রী – নর্তকী দিয়ে হোক পেশাধারী পতিতা দিয়ে হোক পেশাধারী খুনি দিয়ে হোক মাদক সেবন করিয়ে হোক বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হোক সুন্দরী নারী দিয়ে হোক । বাংলাদেশ পুলিশের ৯ মাস আগের ict এর দেয়া টর্চার শেলের সফটওয়্যার তমা শিকদার চুরি করে ও ডি বি হেড কোয়ার্টার এর সাইবার ট্রাইব্যুনাল ( ৫ম তলা ) আমার ব্রেইনে আর হৃদপিণ্ডে চালিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে । আমি জেনো বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ১৭ জনের হত্যার আসল রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পারি এবং আসক খুনিদের খুজে বের না করতে পারি ।
স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে সাড়ে ১৬ কোটি বাঙালী , ৩৫ হাজার সাংবাদিক , আড়াই লক্ষ পুলিশ , আর্মি , র্যাব , ডি বি , এন এস আই , ইন্টেলিজেন্স ফোর্স , এস এস এফ , ডি জি এফ আই , বি জি বি , কোস্ট গার্ড , বিশেষ সিকিউরিটি সেল সহ সকল প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন মহলের একটাই দাবী জাতির পিতার সত্যিকারের হত্যাকারীদের মুখোশ উন্মোচন হোক এবং যতো দ্রুত সম্ভব । বাংলাদেশ সাইবার হামলার শিকার প্রথম সারিতে থেকে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্ট ঘোষণা করলাম । বাংলাদেশের ছায়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্ট ঘোষণা করলাম । আর জেনো কোনো বঙ্গবন্ধু না হারায় বাংলাদেশ । বাংলাদেশের বিজয় সুনিশ্চিত ।