মোহাম্মদ জুবাইর।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বন বিভাগে কর্মরত স্টাফ সৈকত মন্ডল দ্বারা এক সাংবাদিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হারবাং বন বিটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে একটি পুরাতন বাড়ির কিছু ফার্ণিচার ভর্তি একটি গাড়ি আমিরাবাদ থেকে চকরিয়া উদ্দেশ্য রওনা হয়। চুনতি বন রেঞ্জ অফিসের সামনে গাড়িটাকে দাঁড়াতে সংকেত দেওয়া হলে চালক বুঝতে না পারায় গাড়ি চালক দাঁড়ায়নি।
পরে হারবাং বন বিট অফিসে কর্মরত সৈকত মন্ডল অত্র গাড়িটি সিগন্যাল দিলে না দাঁড়ালে, পরে গাড়িটার পিছনে ছুটে গিয়ে গাড়িটি আটকিয়ে, চালককে প্রচুর বেদড়ক পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। পায়ে ভর করে হাটতে পারছে না। হাটুতে প্রচুর জখম হয়েছে।এবং নগদ বিশ হাজার টাকা দাবী করেন। ড্রাইভার বলেন স্যার আমরা বিশ হাজার টাকা কোথা থেকে দেব। তখন আরো পিটায়, বলে তোদের নামে বন মামলা দেব।পরে আমি বলি স্যার আমি টাকা দিব আমাকে দয়া করে আর মারবেন না। এবং শেষে গাড়িটি হারবাং বন বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রে এ তথ্য জানার পর বিষয়টি সম্পর্কে খোজ নেয়ার
কর্মরত সাপ্তাহিক চট্টবাণী পত্রিকা বিশেষ প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে হারবাং বন বিট কর্মকর্তা জলিলুর রহমান আপনি কোথায় আছেন প্রশ্নে তিনি জানান, আমি বিট অফিসে আছি। তখন আমি তথ্য সংগ্রহে হারবাং বন বিট অফিসে গেলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এসময় ওই সাংবাদিকের ওপর হারবাং বন বিট কর্মরত সৈকত মন্ডল এসময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করে।
আরো জানা যায়, ওই সাংবাদিকের গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করতে করতে একপর্যায়ে সৈকত মন্ডল ও রেঞ্জার জলিলুর রহমান তাহার মোবাইল ফোন,মোটরসাইকেল চাবি কেড়ে নেন। ঘটনাস্থলে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন এসে জড়ো হলে ফোন,গাড়ির চাবি ফেরত দেন। এসময় সৈকত মন্ডল ও রেঞ্জার জলিলুর রহমান গালাগালি করতে থাকেন এবং বলেন,”আমদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিভাগীয় বন কমকর্তাকে তথ্য ও নিউজ পাঠাচ্ছিস। তুই শালার আজকে খবর করে ছাড়ব। আরো বলেন তোকে এবং সাংবাদিক সেলিম কে আমি তিনটি, তিনটি মোট ছয়টি বন মামলা দিব।
চালক রুবেল জানান, তাহারা বন বিভাগের লোকজন আমি তাদের আমি চিনি না। তাহারা আমাকে সিগনাল দিয়েছে আমি খেয়াল করিনি। পরে গাড়ির সামনে ব্যারিকেড দিয়ে আমাদের আটক করে প্রচুর পিটায় ও নগদ বিশ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা নিয়ে এবং আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক মুছলেকা নিয়ে আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। আমি এখন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছি হাঁটতে পারছি না। পায়ে প্রচুর যন্ত্রণা ব্যাথা করছে।
হারবাং বন বিটের পাশ্ববর্তী প্রতিবেশিরা বলছেন,সৈকত মন্ডল বিট বনপ্রহরী থেকে শুরু করে, উবর্ধতন কর্তাদের ম্যানেজ করেই বনভূমি দখলের আয়োজন করছে।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, হারবাং বন বিটের কর্মকর্তা জলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে টাকার বিনিময়ে কাঠ পাচারে সহযোগিতা,পাহাড় কাটায় সহযোগিতা, পুকুর খনন ও নানান অনিয়মমের অভিযোগ।
সচেতন মহলের অভিযোগ বনকর্মকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোজঁনিয়ে দেখা গেছে, চুনতি রেঞ্জধীন হারবাং বন বিটের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে প্রতিদিন নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে।কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরুকরে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্হাপনা গড়ছে অবৈধ দখলবাজরা।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, আপনারা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ প্রদান করুন। আমাদের তদন্ত দিলে, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।