সাবেক ছাত্রনেতা ও কলামিস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য তসলিম উদ্দিন রানা চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সহ-সভাপতি,সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এম শামসুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক,শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
তসলিম উদ্দিন রানা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা এবং শােক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি ২০২৩) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এম শামসুল হক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
প্রসঙ্গত, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এম শামসুল হক ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের নিবেদিত সংগঠক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। রাজনীতির নানান বাঁক পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে কোনদিন আপস করেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এম শামসুল হক।৭৫ এর পরবর্তী কঠিন দুঃসময়ে যোদ্ধা হিসেবে জীবনের সোনালী অতীত পার করে রাজনীতি করেছেন।বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদকারী হিসেবে চট্টগ্রামে তার অবদান অতুলনীয় ও অনস্বীকার্য। লায়ন্স গর্ভণর হিসেবে মানুষের জন্য সমাজসেবামুলক কাজ করেছেন।পটিয়ায় খেলাধুলা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে তার অবদান অনস্বীকার্য।আদর্শিক রাজনীতির বাতিঘর হিসেবে সুপরিচিত ছিল।অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেনি বিধায় জীবনে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না।জনশ্রুতি আছে পটিয়ায়
আওয়ামী লীগের দুবার নমিনেশন পেয়ে ষড়যন্ত্রের নক্সা করে তার থেকে চিনিয়ে নিলে আজীবন বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে দ্ধিধা করেনি।মানুষের মাঝে তার ফিরিঙ্গি বাজারের বাসা সব সময় খোলা ছিল।
তার অবদান আজীবন মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
আল্লাহ প্রিয় নেতাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন আমিন।
তার দুই পুত্র,এক কন্যা ও স্ত্রী রেখে যান।