‘জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম মহানগরী সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা এবং নাগরিক দায়বদ্ধতা’
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্দ্যোগে ‘জলাবদ্ধ চট্টগ্রাম মহানগরী সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা এবং নাগরিক দায়বদ্ধতা’ বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠক উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা আজ ৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার ২০২২, এশিয়ান এস আর হোটেলের কনফারেন্স রুমে বিকাল ৫টায় জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত, গ্রীণ এলায়েন্স বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান, কনজুমার্স এসোসিয়েশন (ক্যাব)’র চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার চৌধুরী। সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবছার উদ্দিন অলি সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মনোজ কুমার দেব, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়কারী মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাশ, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস.এম. আজিজ, সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নান, সাইফুল আলম, মো. সেলিম, আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী, অরূপ বড়–য়া, হাজী মনছুর আহমদ, খন্দকার আশরাফ আলী, সৈয়দ নাসিম আহমেদ, মঞ্জুরুল আলম, শেখ শিরিনুর নিশি, মিনারা আফরোজ আরজু প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী বলেন, সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি, জবাবাদিহীতা এবং অযোগ্য লোক দিয়ে জলাবদ্ধতা রোধ করতে গেলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হবে এবং এই শহর কখনোই জলবদ্ধতামুক্ত হবে না। বর্ষাকাল আসলেই কাজের গতি বাড়ে এতে জনগণের ভোগান্তি হয়। দখল দুষণে কর্নফুলী গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার পালিত বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা রোধ করতে খালের মুখ পরিস্কার রাখা খুবই জরুরী। ওয়ার্ড ভিত্তিক শোভাযাত্রা, মানববন্ধন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভার প্রয়োজন। নদী, খাল দখলের ফলে পানির গতি প্রবাহ কমে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার মূল কারণ।
আলীউর রহমান বলেন, এই শহরের নদী খালগুলো এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ৭৬টি খাল থেকে ভরাট হয়ে এখন ৩৬টি খালে নেমে এসেছে। এতে করে বৃষ্টির পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকাল আসার আগে সেবা সংস্থাগুলোর আশার বাণী শোনা যায় কিন্তু বর্ষাকালের সামান্য বৃষ্টিতে বোঝা যায় সেবা সংস্থাগুলো বছর জুড়ে কী কর্মযজ্ঞ করেছেন? আসুন সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এই শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত, পলিথিনমুক্ত করতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সেবা সংস্থাগুলো কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সমন্বয় করে কাজ করলে জনগণ সুফল ভোগ করবে।