1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আনোয়ারার বদলপুরায় ফুটন্ত ফুলের আসরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন রাংগুনীয়া হযরত কাংগালী শাহ্ সড়কের উদ্বোধন পটিয়ায় জিরি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ(জিকু)’র ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি: মীর হেলাল চন্দনাইশ প্রেসক্লাব সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আবারো স্ব-পদে বহাল হলেন চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবু এখনো স্বপদে বহাল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ এম মাহবুব চৌধুরী বোয়ালখালীতে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসী আটক পটিয়ায় জিরি ইউপি সদস্যা নুর আয়েশা বেগম’র সার্বিক সহযোগিতায় টেকসই সড়ক উন্নয়ন গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে ঈর্ষনীয় – এনামুল হক এনাম

অবাধে বালু উত্তোলনে নদী ভাঙ্গন, পরিদর্শনে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টার প্রতিনিধি দল

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ, ব্যুরো চীফঃ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদী থেকে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। কোনোভাবেই কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে বাড়ছে নদী ভাঙন, বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। এজন্য প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে দুষছেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি বন ও পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা)-এর একটি প্রতিনিধি দল।
বেলার প্রতিনিধি দল উপজেলায় সরফভাটার পাইট্টাইল্ল্যাকুল, গোডাউন, মরিয়ম নগর, দক্ষিণ ইছামতী, চন্দ্রঘোনা, কদমতলীর কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ভাঙ্গন এলাকায় পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন এবং নদী ভাঙনের শিকার মানুষের সাথে কথা বলেন।

স্থানীয়রা জানান, বিগত ১৬ বছর ধরে কর্ণফুলী নদী, শিলক খাল, ইছামতী নদীর বালু নিয়ন্ত্রণে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ ও খালেদ মাহমুদ। তাছাড়া এরশাদ মাহমুদের শ্যালক ফয়সাল এন্টারপ্রাইজের নামে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করতো আওয়ামী লীগের লোকজন। বিগত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও থেমে নেই বালু উত্তোলন কার্যক্রম। পালিয়ে যাওয়া আ. লীগের নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন বালু তুলছেন বিএনপির প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট।

স্থানীয়রা আরও জানান, পূর্বে ৮ -১০টি বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন করলেও এখন অর্ধশতাধিক স্থান থেকে রাত দিন প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করছেন চক্রটি। প্রতিদিন প্রতিটি পয়েন্টে ১০থেকে ২০ লাখ টাকার বালু পাচারের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন বাণিজ্য হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। বালু ভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সাধারণ পথচারীদের সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে। প্রতিটি রাস্তা হয়ে পড়েছে চলাচলের অনুপোযোগী। বালুভর্তি ট্রাকের অবাধ চলাচলে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়ছে নানা সমস্যায়। এ ব্যাপারে মাথাব্যথা নেই স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা ২০১০ আইনের সেতু থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও সরফভাটার গোডাউন সেতুর ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। এতে হুমকির মুখে পড়েছে উপজেলার সাথে ৪ ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সড়ক গোডাউন সেতু।

সেতুর খুব কাছে ড্রেজার বসিয়ে ৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার কারণে সেতুর পিলারের গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। তবে ইজারা বহির্ভূত এসব বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কয়েকটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে প্রশাসনের নাকের ডগায় গোডাউন সেতুর পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করলেও স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। কিন্তু রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বালু উত্তোলন বন্ধ না করে আরও অধিকহারে বালু উত্তোলনে সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে পরিদর্শনে আসা বেলার চট্টগ্রাম নির্বাহী পরিচালক মুনিরা বেগম বলেন, কর্ণফুলী নদী দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি নদী। অবৈধ বালু উত্তোলনের নির্মমতার শিকারে পরিণত হয়েছে এই কর্ণফুলী নদী। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা যথেচ্ছভাবে বালু তুলছেন। এতে নদীর পাড় ভাঙন থেকে শুরু করে পানির গতিপথ বদলে যাওয়া ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বালু উত্তোলনের জন্য ইজারাকৃত স্পটগুলোর বাইরেও উপজেলার ৩টি নদীর অর্ধশতাধিক স্পট থেকে ইজারা বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে নদী ও বসতি এলাকায় পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আবার খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের কারণে বায়ু বালি দূষণসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে।
যা লিখিত আকারে পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট