চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল এনাম এনাম বলেছেন,

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আওয়ামী জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করে গেছেন। তিনি দীর্ঘ ১৬টি বছর আন্দোলনে দুর থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এই বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করলেন, যাহা বাংলাদেশের গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে থাকা গোষ্ঠীর কাছে ঈর্ষনীয়। আন্দোলন যখন শুরু হলো শত শত বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করেছে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা। পতিত আওয়ামীলীগ শত শত জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দায়ের করেছিল। তবুও বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথ ছেড়ে যায়নি। সর্বশেষ ছাত্র - জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা পেলাম সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ। পাঁচ বছর আগে তারেক রহমান বলেছিলেন দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। তারেক রহমানের সুদূরপ্রসারী সেই চিন্তার কথাই আজ প্রমাণিত হলো।

এনামুল হক এনাম আরও বলেন, ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে ফ্যাসিবাদী হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী এবং হামলা মামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীরাই বিএনপির সত্যিকারের নেতাকর্মী। যারা সুবিধাবাদী এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসর ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপিতে কোন সুবিধাবাদীর স্হান নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষা করছেন, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলাদেশে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্রের দায়িত্ব প্রদান করতে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দাবী জানাচ্ছি, অতি দ্রুত সময়ের বাংলাদেশে সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিন। বাংলাদেশের জনগণ এই দেশের মালিক। তারাই ঠিক করবেন আগামীর বাংলাদেশে কারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিবেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার, ২৬ মার্চ, বিকাল ৪টায়, পটিয়ার জিরি কাজীর হাটে ৭নং জিরি ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্দোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এনামুল হক এনাম এসব কথা বলেন।

জিরি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী ইব্রাহিম সওদাগরের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জসীম এবং মোহাম্মদ হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহের, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, পটিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল আলম ছোটন, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মাবুদ। জেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক মোর্শেদুল শফি হিরু, পটিয়া শহীদ জিয়া গোল্ডকাপ টূর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল হক রিপন, স্পন্সর আশরাফুল হক আবিদ, উপজেলা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ জেলা জাসাসের সদস্য সচিব নাসির উদ্দীন, বিএনপি নেতা আবু তৈয়ব চৌধুরী, মোহাম্মদ ফিরোজ, শরীফ উদ্দীন চৌধুরী, দিদারুল আলম, কাজী আনিস, কাজী মোরশেদ, আবদুল আলীম, লুৎফর রহমান লুতু, আকতার হোসেন সিকদার মোহাম্মদ সাদেক, পটিয়া উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত ইয়াসিন, সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওবায়দুল হক রিকু, সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাহেদ, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল কাদের, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান চৌধুরী লিটন, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মাহাবুবুল আলম পারভেজ, পৌরসভা কৃষক দলের আহ্বায়ক বুলবুল আহমেদ নান্নু, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল সিকদার সুমন, শহীদুল ইসলাম লিটন, সাইফুর রহমান, ইমরানুল হক বাহাদুর, শাহ আলম, হেলাল উদ্দিন এরশাদ, জিয়াউর রহমান, যুবদল নেতা রেজাউল করিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দিদারুল আলম দিদার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম হোসেন নয়ন, জিরি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাকসুদুল হক রিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, খলিল মীর ডিগ্রী কলেজ সভাপতি মোশারফ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জীবন, সেকান্দর হোসেন ডেভিড, কামরুল হাসান জুয়েল, মনির উদ্দীন নয়ন, কায়সার আলম, মোহাম্মদ ফারুক, ইরফান, সাকিব, আজাদ, পৌরসভা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ইমরান, আলী হোসেন প্রমূখ।