1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশ প্রেসক্লাব সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আবারো স্ব-পদে বহাল হলেন চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবু এখনো স্বপদে বহাল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ এম মাহবুব চৌধুরী বোয়ালখালীতে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসী আটক পটিয়ায় জিরি ইউপি সদস্যা নুর আয়েশা বেগম’র সার্বিক সহযোগিতায় টেকসই সড়ক উন্নয়ন গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে ঈর্ষনীয় – এনামুল হক এনাম নোয়াখালীতে ৩য় ব্যাচে প্রশিক্ষণ শুরু ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বোয়ালখালীতে ১৭ কেজি ওজনের ১২ ফুট দীর্ঘ একটি অজগর উদ্ধার বোয়ালখালীতে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কবিতাঃ কেমন করে -সৈয়দা উলফাত

রেহানার একটি চিঠি, যা কখনো পৌঁছায়নি বঙ্গবন্ধু ও রাসেলের হাতে

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানি পৌঁছার পর ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বাবা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকা- থেকে রেহাই পেয়ে যান, কারণ তারা তখন জার্মানিতে ছিলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০২১ সালে তার জন্মদিন উপলক্ষে দলটির যাচাইকৃত ফেসবুক পেইজে সাক্ষাৎকারটি শেয়ার করেছিল, যেখানে তিনি তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে হত্যার পর থেকে যে শোক ও দুঃখ লালন করছিলেন তা প্রকাশ করেছেন।
শেখ রেহানা ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট সাপ্তাহিক চিত্র বাংলা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক ব্যতিক্রমী সাক্ষাৎকারে বেদনাদায়ক এ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।
চিঠিতে রেহানা তারা কীভাবে ভ্রমণ করছেন এবং কীভাবে সেখানে তাদের দিন কাটছে সেসব বর্ণনা করেছেন। কিন্তু যাদের উদ্দেশে চিঠিটি লেখা হয়েছিল তাঁরা এ চিঠি কোনদিনও দেখতে পাননি। কারণ, চিঠিটি পৌঁছানোর আগেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর প্রায় পুরো পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
শেখ রেহানার ১০ বছর বয়সী ভাই শেখ রাসেল সাধারণত ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রাম নিতে চাইতো না। তাই রেহানা তার চিঠিতে ভাইকে তার স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন এবং জার্মানির প্রকৃতি কতটা মনোরম ও সুন্দর তা বর্ণনা করেছিলেন। তিনি চিঠির সাথে কয়েকটি কার্ডও সংযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু চিঠিটি কখনই তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
এমনকি হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে একটি কালো আইন জারি করায় দেশের রাজনৈতিক গতিপথকে সম্পূর্ণভাবে বদলে দেওয়া এবং রাষ্ট্রকে পাকিস্তানি আদর্শের দিকে ঠেলে দেওয়ায় নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচারও তারা চাইতে পারেনি।
ওই সাক্ষাতকারে রেহানা বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় ১৫ আগস্ট ওরা আমার জীবন কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার বাবা, মা, আমার ভাইদের হারিয়েছি। আমি কীসের জন্য বাঁচব? রাসেলের কী দোষ ছিল? সে তো রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। আমার মাও ছিলেন না। কেন তারা তাদের মেরে ফেললো? আমি এতিম। আমি অসহায়। একজন কন্যা হিসেবে, একজন বাঙালি হিসেবে, আমি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবি করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার চাই।’
রেহানা আরো বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। ফুলের নিচের সাপের মতো স্থানীয় দালালরাও জড়িত ছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে দেশের নেতাদের মধ্যে যে আওয়াজ তোলা উচিত ছিল, তা আশানুরূপ ভাবে হয়নি।’
যে খুনিরা গর্বিতভাবে তাদের কাজ শেষের ঘোষণা করেছিল তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে ইতিহাসের গৌরবজনক অধ্যায়ে নেমে এসেছিল সকরুণ নিস্তব্ধতা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট