উপজেলা প্রতিনিধিঃ
হাতিয়া উপজেলার নলচিরা কাউনিয়া সফিউল আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজেদা সুলতানা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২- ১৫ এপ্রিল -২০২৫ আন্ত: উপজেলা অনলাইন বদলীতে তথ্য গোপন করে বদলীর আবেদন দাখিল করেন।
২২ জানুয়ারি ২০২৩ যোগদান করা উক্ত শিক্ষিকা ১ জানুয়ারি ২০২৫- ৩১ অক্টোবর ২০২৫ খ্রি. পর্যন্ত নোয়াখালী মাইজদী পিটিআইতে বিটিপিটি প্রশিক্ষণে ছিলেন। প্রশিক্ষণ গ্রহনকালীন সময়ে তার সন্তান ভূমিষ্ট হলেও তিনি ২নভেম্বর ২০২৪ থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন যা এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ।
সমন্বিত অনলাইন বদলী নির্দেশিকা ২০২৩ এর ১১.৩ শর্ত অনুযায়ী মাতৃত্বছুটিতে থাকাকালীন আবেদন করার সুযোগই নেই। শিক্ষিকা তার সন্তানের জন্মের প্রায় দুইমাস পরে তথ্য গোপনে মাতৃত্ব ছুটি নিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, নোয়াখালী ইশরাত নাসিমা হাবীবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তথ্য গোপন করে বদলীর বিষয়টি নজরে আসার সাথে সাথেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাতিয়াকে ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে পাওয়ার পর বদলী বাতিলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরন করা হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল জব্বারকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। উত্তর প্রাপ্তির পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, নোয়াখালীতে প্রতিবেদন প্রেরন করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষক পিন্টু দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষিকার আবেদন সম্পর্কে তিনি অবগত নন, উক্ত শিক্ষিকা ২ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ থেকে মাতৃত্ব ছুটিতে। বদলীর আবেদনটি সিস্টেম কর্তৃক ফরোয়ার্ড হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি বদলীর জন্য আবেদন করেছি বিষয়টি অন্যায় হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় শিক্ষিকার স্বামী হাসান মেহেরাজ একই জেলাধীন সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চর মজিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বিগত আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদানকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে অবস্থান না করে সুবর্ণচর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপজেলা দপ্তর, উপজেলা নির্বাহী অফিসে পতিত এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর দোহায় দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে খবরদারি করত এবং এমপি ও এডভোকেট ওমর ফারুকের সাথে ঘুরোঘুরি করতো। দলের দাপট দেখিয়ে কর্মকর্তা ও সিনিয়র শিক্ষকদের অপমান - অপদস্ত করাতো এমপিকে দিয়ে।
লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্ সম্পাদিত ও হাজী জসিম উদ্দিন প্রকাশিত