শিক্ষার্থীরা ঘরে বন্দী,অভিভাবকরা চিন্তিত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কবে?
উপসম্পাদকীয়ঃ
করোনা ভাইরাস সংত্রুমণ পরিস্হিতির কারণে গত ২৭ মার্চ স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে, প্রায় দীর্ঘ নয় মাস সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে আজ শিক্ষার্থীরা ঘরে বন্দিদশায় আছে। করোনার ভাইরাসের কারণে অচলব্যবস্হা রিরাজ করছে ঘরে বাহিরের ও সকল শিক্ষাা প্রতিষ্ঠানে এইভাবে প্রায় শিক্ষার্থীদের জীবনে মুল্যবান সময় নষ্ট করে এক বছর চলে গেল। করোনার ভাইরাসের সংকট সারা পৃথিবী স্তব্ধ করে দিয়েছে। সরকার ও জনগণ দেশে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন কেটে উড়তে পারলে ও শিক্ষার্থীদের জ্ঞান প্রচার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কিভাবে ২০২১ সালে মধ্যে খুলে দেবে সে চিন্তা এখনো করা সময়।
কারন কবে করোনা পরিস্হিতি কখন যে স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত।
আবার বর্তমানে করোনাভাইরাস সংত্রুমণের উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছি আমরা। এই শীতে মৃত্যুর হারও বেড়েছে। হয়তো নতুন করে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর ফল পেতে বেশ কিছু সময়ের প্রয়োজন। আবার এমন ও হতে পারে আগামী দুই বছর করোনার সাথে যুদ্ধ করতে হতে পারে। অন্যদিকে একটু লক্ষ্য করবেন দেশে মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিথি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে পরীক্ষা মুলকভাবে হলেও খুলে দেওয়া উচিত কিনা চিন্তা করা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল খুলে যায় কিনা? সে ক্ষেত্রে গণরুম ও গাদাগাদি করে থাকা বন্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কতৃকপক্ষে নিশ্চিত করতে হবে, সম্ভব হলে প্রতিটা রুমে যত জনের আসন রয়েছে তার থেকেও শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে।
আমি মনে করি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে সীমিত পরিসরে ক্লাস ও পরীক্ষার ব্যবস্হাও করা যেতে পারে। রুটিন ভিত্তিক, বিষয়ভিত্তিক, গ্রুপভিত্তিক, এটি করা যেতে পারে। কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চুড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার আয়োজন করেছে।
অন্যদিকে দীর্ঘ দিন শিক্ষার্থীরা যেমন দিনে পর দিন অসুস্থ মনোভাব নিয়ে দিন রাত খাটাচ্ছে তেমন শিক্ষার্থীর সম্মানিত অভিভাবকরা ও ছেলেমেযেদের আগামীর সোনালী উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। শিক্ষার্থীর রাতদিন বাসায় বন্দী সকালে ঘুম উঠে ১১ টায়। নাস্তাটা টেবিলে ১২ টা আসে। আবার দুপুরে lunch করে আবার বিছানায় শুয়ে পড়ে। বিকেল ঘুম থেকে উঠে মা বাবা থেকে আমতা আমতা করে ২০/৫০ টাকা নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে শহরের রাস্তার টংগের দোকানে রাত ৭/৯ টা পর্ষন্ত রং চায়ের কাপে মজার আড্ডা চলে। রাত ১০ টা দিকে বাসায় ফিরে আসে। রাতে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ে রাত ২/৩ টা ধরে ফেসবুক অনলাইনে ব্যবস্তার মধ্যে চোখ বন্ধ সকালটা হয়। এইভাবে চলতে থাকলে হয়ত আমাদের সোনার ছেলেরা মাদকাসক্তি, দেশ ও সমাজের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। বেকারত্ব হয়ত বেড়ে যেতে পারে। এই করোন ভাইরাস বিপদ মূখি বিপদ থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরে আনা আমাদের জন্য কঠিন কাজ হবে।
আমি মনে করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষামূলকভাবে খোলা যেতে পারে আর সবাই দায়িত্বশীল আচরন করলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসেও আনা যেতে পারে। আমি আরো মনে করি সরকারের পাশাপাশি সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
-নেছার আহমেদ খান
সমাজকর্মী ও লেখক