এ বছর দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে৷ ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় পর আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে দামও কমেছে৷ কিন্তু কৃষকের দাবি, আমদানি অব্যাহত থাকলে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন না৷ ‘‘এ বছর আমি ১০০ শতক জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছি৷ আমাদের এলাকার প্রায় ৯৮ শতাংশ জমিতেই পেঁয়াজ আবাদ হয়৷ ভারত থেকে আমদানি বন্ধ না হলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে৷ কৃষকদের বাঁচাতে সরকার যদি আমদানি বন্ধ করতেন তবে আমরা বাঁচতাম৷’’দেশের চাহিদা মিটিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির উপায়ও দেখালেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সীমান্তে ভারতীয় গরু পারাপার বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশের কৃষকের পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত তরুন ও বাণিজ্যিক ভাবে গরুর খামার ও লালন পালন শুরু করে। দেশীয় গরু দিয়েই আজ নিজেদের চাহিদার বড় অংশ মিটে যায়। গরু উৎপাদনে অনেকটাই স্বয়ংসম্পুর্ণ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর সাময়িক সংকটে পড়লেও বাংলাদেশ তা কাটিয়ে উঠেছে। মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিশর, তুরস্ক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এবার বাংলাদেশি চাষীরাও প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ করেছে। অনেক শিক্ষিত তরুন ও এদিকে মনোযোগ দিয়েছে। এখন আমাদের দেশিয় পেঁয়াজ বাজারে আসার সময় হয়েছে। যা ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে অনেক সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন। পরিমানেও লাগে কম। ফলে অর্থনৈতিক ভাবেও সাশ্রয়ী।
এমন সময়ে গত ২৮ ডিসেম্বর ভারত আবার পেঁয়াজ রপ্তানির ঘোষনা দেয়। যা আমাদের কৃষক ও তরুন উদ্যোক্তাদের জন্য শংকার এবং হতাশার খবর। তাই দেশের স্বার্থে ভারতীয় পেঁয়াজকে না বলুন।দেশকে স্বাবলম্বি হতে সহায়তা করুন। দেশ বাঁচান, কৃষক বাঁচান।