সেই ২১ বছর আগে দেশ থেকে প্রবাসে এসে ভাগ্যের চাকা সচল করতে বিদেশে পাড়ি জমায়।ভাগ্য ক্রমে কাজের সন্ধান পাওয়া গেলো সৌদি আরবের নাম করা বিশাল একটি ঔষধ কোম্পানিতে। যে কোম্পানিতে কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পেরছি।অনেক দেশী বিদেশি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব জমে উঠেছে। কিন্তু ভাগ্য আজ আবারও মাতৃভূমি টানে মায়ের বুকে ফিরে যাচ্ছি। তাই চলার পথে আমার অগনীত বন্ধু এবং সহপাঠী ও চাকুরী জীবনের যে সকল ডাক্তারদের সাথে কাজ করেছি তাদের অনেক মিস করবো।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আপনাদের কেও সবাইকে আল্লাহ হেফাজত করেন এই দোয়া করি। অনেক মিস করবো প্রানপ্রিয় কোম্পানি আল নাহিদী মেডিসিন কোম্পানির সকল ভাইদের।
আমার অভিজ্ঞতা দেখা প্রবাসীদের কান্নার জীবন
যে ছেলেটি দেশে ৩৩ ডিগ্রি গরমে জন্য ঘর থেকে বাহির হয়নি সে ছেলে মধ্যপ্রাচ্য ৪৪ ডিগ্রি গরমে হাড় ভাঁঙা পরিশ্রম করে শুধু মাত্র স্বপ্নে শহরের সোনার হরিণে পিছনে দৌড়তে গিয়ে আজ ছেলেটি কোমলমতি হাতটা লক্ষ্য করুন।
প্রবাসীদের পরিবারকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আপনার ছেলে; স্বামী; বা ভাই প্রবাসে কি করে? উত্তর আসবে, বিদেশে থাকে কিন্তু কি কাজ করে জানি না। কিংবা অত কিছু জানতেও চায় না অনেকেই। এ কথাটাই অপ্রিয় সত্য। পরিবারের সদস্যরা কিংবা আত্মীয়স্বজন মনে করেন বিদেশ মানেই রোপন করা টাকার গাছ যা ঝাঁকি দিলেই কেবল টাকা আর টাকা। কোন প্রবাসী যদি ঘরে টাকা কম দেয় পরিবারের সদস্যরা ধরে নেয় যে, তাদের ছেলে টাকা জমা করছে বা উচ্ছন্নে গেছে। আর যদি বিবাহিত হয় তাহলে তো কথাই নেই। সবাই এক বাক্যে বিশ্বাস করে ছেলে যা কামাই করছে সব শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আসলে যে তার বেতন কত; কোথায় থাকে; কিভাবে থাকে; কি খাচ্ছে; কি কাজ করে; যা আয় করে তা হালাল না কি হারাম তা জানার কোন প্রয়োজন মনে করে না। শুধুমাত্র মাস শেষে টাকা পেলেই হয়। প্রবাসীরা যে কতটা অবহেলিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খুব কম প্রবাসী আছে যারা পরিবারের সমর্থন পেয়ে থাকবে। গড়ে প্রতিদিন ৫৫-৬২ জন প্রবাসীর মরদেহ দেশে যায়। যাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয় হঠাৎ_মৃত্যু বা স্ট্রোক। যার জন্য দায়ী মানসিক চাপ, তাই, প্রবাসীদের পরিবারের প্রতি অনুরোধ রইল যে আপনার ঘরের প্রবাসী সন্তানকে #মানসিক_চাপ থেকে দুরে রাখতে চেষ্টা করুন।