এম এ সালাম কাতার প্রতিনিধিঃ কাতার প্রবাসী সাব্বির আহমদ দেশের বাড়ী সিলেটে। দূতাবাসে সত্য স্বাক্ষ্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে বালাগহুরুপ (রানওয়ে কেস) দেওয়া হয়। বর্তমানে এই ক্ষেত্রে ন্যূনতম জরিমানা ১২ হাজার কাতারি রিয়াল। এছাড়া অনেক সময় জরিমানা প্রদান করেও নিষ্কৃতি পাওয়া যায় না এবং ডিপোর্টেশন এর সম্মুখীন হতে হয়। ন্যায় বিচারের মূর্ত প্রতিক সম্মানিত চীফ প্রসিকিউটর, রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স, দূতাবাসের অনুরোধে শুনানীয়ন্তে সাব্বিরকে খালাস দেয় বিনা জরিমানায়।
জানাগেছে ২৭ জানুয়ারী বুধবার সাব্বির আহমদ দূতাবাসে গিয়ে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ডঃ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর ডঃ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এর মাধ্যমে আমার এই বালাগহুরুপ (রানওয়ে কেস) এর নিষ্পত্তি হয়েছে, এতে আমি খুবই আনন্দিত, শ্রম কাউন্সিলর ডঃ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান আমার পাশে দাড়িয়েছেন, এবং আমার কেস নিষ্পত্তি হয়েছে এজন্য আমি বাংলাদেশ দূতাবাস ও শ্রম কাউন্সিলর স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ।
শ্রম কাউন্সিলর ডঃ মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দূতাবাসের কাজ হচ্ছে প্রবাসীদের সেবা করা। আমরা চেষ্টা করি সবসময় প্রবাসীদের সেবা দিতে, প্রবাসীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন, যেমন সিলেটের সাব্বির এসে যখন আমাকে বললো তার এ সমস্যার কথা আমি সাথে সাথে তার এই কেস নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি ও সেটা নিষ্পত্তি করি। সাব্বির কেস থেকে মুক্ত হয়ে আজ দূতাবাসে এসে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। যখন কোন প্রবাসীর সমস্যা সমাধান না নিষ্পত্তি করতে পারি তখন আমাদেরও ভালোলাগে, অন্ততপক্ষে প্রবাসীদের জন্য কিছু করতে পেরেছি।
ক্ষতিপূরণ মামলার নিষ্পত্তি, প্রাক্তন এবং বর্তমান মান্যবর রাষ্ট্রদূত এর সদয় নির্দেশনায় দূর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপুরণ মামলা নিষ্পত্তি ও ক্ষতিপুরণ আদায়কে অগ্রাধিকার কার্য তালিকায় রেখেছি। প্রথমবারের মত ল’ফার্ম আমার অফিসে এসে ৫ টি ক্ষতিপুরণ আদায়ের চেক হস্তান্তর করে যেখানে ক্ষতিপুরণ আদায় হয় ৭ লক্ষ ৩৩ হাজার কাতারি রিয়াল যা বাংলাদেশী টাকায় ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি। এছাড়া ৭ টি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হস্তান্তর করা হয় মামলা দায়েরের জন্য।