এস. এম নাঈম উদ্দিনঃ ঘনিয়ে আসছে স্থানীয় ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমিয়ে উঠবে ঈদের আমেজ। পোষ্টার ব্যানারে রঙ্গীন হয়ে উঠবে এলাকা। ঘরে ঘরে প্রার্থীরা যাবে ভোট চাইতে আর প্রতিশ্রুতি দিবে অগণিত।
সেই নির্বাচনে জাতীয় প্রতীক কতটুকু কার্যকর হবে বলে মনে হয়???
স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় প্রতীক দিলে ব্যক্তিগত অভিমতে যা মনে করি তা হল, যে প্রতীক পাবে তাঁকে খুশি করার জন্য তাঁর হয়ে সবাই কাজ করবে। দিন রাত তাঁকে তেল দিতে ব্যস্ত থাকবে সবাই। এতে হয়ত প্রকৃত বা ত্যাগী মানুষটার মূল্যায়ন হবেনা। কারণ সবার মাঝে একটি ধারণা কাজ করে যে প্রতীক পাবে সে হয়ত নির্বাচনে জয়ী হবে। সে কারণে বাকি প্রার্থীদের মূল্যায়ন আর করা হয় না। এমনকি তাদের সাথে কেউ থাকেও না। পরিশেষে তাদের মন ভেঙ্গে যায়। এমনও হতে পারে প্রতীক না পাওয়া সেই ব্যক্তিটি প্রতীক পাওয়া ব্যক্তিটির চেয়েও দেশের প্রতি বেশি আন্তরিক। নিজ নির্বাচনী এলাকাকে সুন্দর করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবে। মানুষের মূল্যায়ন হবে।
অন্যদিকে প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে, নির্বাচনে জয়ী হলে হয়ত দেখা যাবে বিভিন্ন খাতে কাজ নিয়ে এসে দূর্নীতি শুরু করবে। কারণ নির্বাচনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তার দ্বিগুণ তুলতে হবে। সে ক্ষেত্রে যদি সকল প্রার্থীর মনে সৎ ইচ্ছা থাকে তাহলে দেশকে সিঙ্গাপুর করা অসম্ভব কিছু না। তবে দলকে ব্যবহার করে দেশকে বিক্রী করে দিলে তো দেশ যাবে রসাতলে।
জাতীয় প্রতীক আসলে হয়ত প্রার্থীর মনে একটা অহংকার চলে আসে। মনে মনে ভাবে আমি হয়ত হয়ে যাব, এই মনোভাব নিয়ে সে ভোট চাইতেও হয়ত যাবে না। গেলেও সৌজন্যমূলকভাবে যাবে। শুধুমাত্র ফরমালিটি।
সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে জাতীয় প্রতীক তুলে দিয়ে সকলের মূল্যায়ন করা হোক। ভোটের আমেজ তৈরি করা হোক। উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট দেয়ার পরিবেশ তৈরি করা হোক। দেখবেন দেশটি সিঙ্গাপুর হতে বেশি দেরি হবেনা। প্রতীক না থাকলে একটি প্রতিযোগিতা হবে। সঠিক মানুষের মূল্যায়ন হবে। আসুন সবাই মিলে দেশকে বিক্রী করে না দিয়ে দেশকে উন্নয়ন করতে এগিয়ে আসি। এদেশ আমার। ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই সোনার বাংলাদেশ। এ দেশকে ভালোবেসে স্থানীয় পর্যায় থেকে সৎ ইচ্ছায় উন্নয়নমূলক কাজ করলে দেশ আরো সমৃদ্ধশালী হবে ইনশাআল্লাহ্।