চট্টগ্রাম ব্যুরো- আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অবাধ সরবরাহ ও কাপড়ের মূল্যসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বার, বিভিন্ন ব্যবসায়িক সমিতি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই মহামারী পরিস্থিতিতে সকলের কথা ভেবে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে যেন রাখা যায় সেই বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ বেলা ১২ঃ০০ টার মধ্যে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, ক্যাব চট্টগ্রামের প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স আন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল বাশার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলী, ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি ওসমান গনি, ড্রিংকিং ওয়াটার ওয়ানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সল আবদুল্লাহ আদনান, কামাল বাজার ববসায়ী সমিতির খালেদ খান চৌধুরী, রেয়াজ উদ্দীন বাজার সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক শিবলি সাদিক, চট্টগ্রাম ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন ট্রেডবডি ও ক্যাব নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় সফলভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। রমজানে যাতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে এবং আমদানিকৃত পণ্য, উৎপাদিত কাঁচা পন্য ও কাপড়ের দাম সীমিত লাভে বিক্রী করে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়। কাঁচা বাজারের ট্রাক কেউ যেন আটকে না রাখে এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে পারে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে প্রতিবারের মতো বাজার মনিটরিং করা হবে এবং বাজারে মনিটরিং এর জন্য কয়েকটি টিম পৃথক পৃথক জায়গায় (পাইকারী ও খুচরা বাজার) মনিটরিং করবে। বাজার মনিটরিং এর সময় প্রথম দিনে হ্যান্ড মাইক দিয়ে সবাইকে সচেতন করা হবে। পরবর্তী সময়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মহানগীর’র বাজার সমূহ মনিটরিং করা হবে এবং উপজেলায় বাজার মনিটরিং করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে অবশ্যই ইনভয়েস/ক্রয়রশিদ সংরক্ষিত থাকতে হবে। দোকানে/বাজারে মূল্য তালিকা টাঙ্গাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা ও বাণিজ্য করতে হবে। পঁচা-বাসি খাবার যাতে বিক্রয় করতে না পারে এবং উন্মুক্ত/খোলা অবস্থায় খাবার বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কনভেনশন হল গুলোতে সামাজিক দূরত্ব/ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানাদি পরিচালনা করতে হবে সভায় মত ব্যাক্ত করেন।