ইসমাইল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর
প্রশাসন দিয়ে সংখ্যালঘুদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা কঠিন উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদেরকে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রীতি সমাবেশ ও মিছিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এবং আঙ্গীকার বাস্তবায়ন করব।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
কুমিল্লায় কুরান অবমাননাকে কেন্দ করে সারাদেশে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোকে ইঙ্গিত করে নওফেল বলেন, সরকার শতভাগ সচেষ্ট আছে। ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগের ঘটনায়ও বহু লোকজন গ্রেফতার হয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘসূত্রতা আছে। বিচারিক প্রক্রিয়ার বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। এই দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২১ বছর পর। সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ও হয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। সেইদিনও আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে এসেছিলেন এবং চট্টগ্রামে সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন।
উপমন্ত্রী সংখ্যালঘুদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, সম্প্রীতির বাংলাদেশে কোনো অপরাজনৈতিক শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। আমরা শন্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি। যেকোনো দেশের জন্য স্থিতিশীলতা, সমাজিক শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক শৃঙ্খলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আছে বলে বাংলাদেশে উন্নয়ন ও প্রগতি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হচ্ছে। এটা বিনষ্ট করার কেউ যদি অপচেষ্টা করে আমরা সেটা নস্যাৎ করে দেব। আমাদের সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা বলব বিচলিত বা ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই বাংলাদেশ আমার, আপনার, সবার।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে আমরা সম্প্রীতি ও শান্তির সমাবেশ করছি। প্রতিটি সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ বোঝাপড়া যদি না থাকে, তাহলে এখানে দীর্ঘমেয়াদে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখাটা কঠিন। দেশের যেকোনো মানুষ সংক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন করতে পারেন। সেটা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। সংক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক; অস্বাভাবিক কিছু নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কি সংক্ষুব্ধ নয়? আমাদের সরকার ক্ষমতা থাকাবস্থায় অপরাজনৈতিক শক্তি কাজটি করছে; আমরাও সংক্ষুব্ধ। সে জন্য সম্প্রীতির সমাবেশ করছি। আমরা বিক্ষোভ করছি, প্রতিবাদ করছি ও প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিয়েছি।