মোঃ জাহিদুল ইসলাম, দুমকি, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: হেমন্তের হিমেল হাওয়া, সকালের শিশির বিন্দু, ঘনকুয়াশার চাঁদরে ঢাঁকা পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাসহ শহরের অলিগলি। তার সাথে অনুভূত হচ্ছে শীত। আর তাই শীত নিবারণের জন্য ভীড় পড়ে গেছে উপজেলার হাটবাজার গুলোর লেপ তোশকের দোকান গুলোতে। ক্রেতাসাধারণ দরকষাকষির মাধ্যমে পছন্দের টিকসই লেপতোশক ক্রয় করছে। ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোশক বিক্রির জন্য রিক্সায অথবা ভ্যানে আবার কোথাও মাথায় নিয়ে আনাগোনা শুরু করেছে। পল্লী বধুদের আগ্রহের সাথে সাধ্যমত পছন্দের লেপ-তোশক ক্রয় করতে হর-হামেসা দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার গুলোর লেপ তোশকের দোকানের কারিগরদের ব্যস্ততা। তুলা ধুনা, রং বেরঙের কাপড়ের দ্বারা খোল তৈরি, সুঁচ- সুতার নিপুণ নকসি দিয়ে সেলাই করছে হরেক রকম লেপ-তোশক। উপজেলার পীরতলা বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বিশ্বাস বলেন, তার এ ব্যবস্যা অনেক পুরানো, নানার পরে বাবা , তার পরে আমরা ২’ভাই পেশায় ৩০ বছর যাবৎ জড়িত আছি। লেপ- তোশক, বালিশ, বিছানায় চাদর তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছি। ১৪ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করি, এখন দোকানে ২লক্ষাধিক টাকার মালামাল রয়েছে। ৪ সন্তানের পড়াশোনাসহ সংসার ভাল ভাবেই চালিয়ে আসতেছি। তবে তিনি বলেন, কাপড়,তুলা এবং সেলাই সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক পুঁজি খাটাতে হচ্ছে। তারই দোকানের লাউকাঠী ইউনিয়নের ৭০ বছর বয়সী কর্মচারী আঃ রশিদ বলেন, ৪০ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত। প্রডাক্টশন চুক্তিতে দোকানে কাজ করে দৈনিক ৮ থেকে ১২’শ টাকা মজুরি পাই। অপর এক ব্যবসায়ী কালাম বিশ্বাস বিশ্বাস বলেন, দ্রবমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ও বেশী মূল্যে লেপ-তোশক বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিটি সেট তৈরি করতে আগের চেয়ে ৫ -৬’শ টাকা বেশি খরচ পড়ে। এখন লেপ- তোশক প্রতি সেট ২হাজার ৮ শত থেকে ৩ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে, তা আগে চেয়ে অনেক বেশি। মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজারের ব্যবসায়ী টিটু, সেলিম ও ওবায়দুল জানান, শীতের শুরু তাই বেচাকেনা ভালো, আগের চেয়ে ক্রেতাদের ভিড় বেশী। এভাবে চলতে থাকলে এবছর তারা বেশ লাভবান হবেন।