দুমকি, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে অগঠনতান্ত্রিক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নব ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, নব গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ ফজলুল হক। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৩৩জন সদস্য না থাকায় বিগত ১৪ই নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অচলাবস্থা নিরসন এবং সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সিদ্ধান্তের আলোকে ২৯নভেম্বর দুমকি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের ত্যাগী ও পরিক্ষীত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিগত ২৯ নভেম্বর মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে আহুত সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন, উহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অগঠনতান্ত্রিক ও দুঃখ জনক। আমরা মুরাদিয়া ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থনে নৌকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন এবং সংবাদ সম্মেলনে তার পাশে বসা মোঃ মজিবুর রহমান, ফোরকান আলী মৃধা, অহিদুর রহমান সহিদ, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, ইউনুছ আলী মৃধা, হুমায়ূন কবির মৃধা, মনির হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার সক্রিয় বিরোধিতা করেছেন, তাই মিজানুর রহমান সিকদারের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ, মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।