আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গোলাম মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দুই মণ জিলাপি বিতরণ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার ১২ ডিসেম্বর সকালে পলাশবাড়ী উপজেলার ৪নং বরিশাল ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে স্থানীয় শাহ্ আলম কাজীর উপস্থিতিতে ডিভোর্স সম্পন্ন হয়। গোলাম মোস্তফা ওই গ্রামের ডাক্তার নজির হোসেনের ছেলে। তাদের সংসারে মেঘলা আক্তার কুলসুম নামে ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়,দীর্ঘ ১২ বছর আগে একই গ্রামের বিউটি বেগমের সঙ্গে গোলাম মোস্তফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কয়েকবছর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। এর মধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে তাদের মধ্যে কারণে অকারণে মনমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদ চলায় শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এ কারণে আজকে দুজনের সম্মতিতে তারা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সকালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্টার মোঃ শহর আলম সরকার এ ডিভোর্স বা তালাক সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে গোলাম মোস্তফা বলেন,স্ত্রী আমার অবাধ্য ছিল। সে জীবনটা অতিষ্ট করে তুলেছিল। অতিষ্ট হয়ে আজকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দুজনের সম্মতিতে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। আমি মুক্ত হয়েছি।
তাই আজকে খুশি হয়ে একই গ্রামের চারমাথার দোকানী শফিক ভাইকে চিনি ও গুড়ের ২ মন জিলাপির ওয়ার্ডার দিয়ে গ্রামের শিশু সহ আবাল বৃদ্ধ বনিতা মানুষের মাঝে এই জিলাপি বিতরণ করেছি। গ্রামের সকল লোককে খাওয়াতে আরও জিলাপির প্রয়োজন হলে তাও বিতরণ করব ইনশাআল্লাহ।√#