আফনান চৌধুরী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম):
পিলারের পাশের মাটি সরে দেবে গেছে। যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে। বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। বলছিলাম বাঁশখালীর সরল ইউনিয়ন ও বাঁশখালী পৌরসভার ৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম চুম্মাপাড়া ব্রিজের কথা। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি পারাপারে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নড়েবড়ে ওই সেতু দিয়ে চলাফেরা করছে এলাকাবাসী। বিকল্প কোনো মাধ্যম না থাকায় বাধ্য হয়ে সেতুটি ব্যবহার করতে হচ্ছে তাদের। প্রায়ই সময় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরল ও বাঁশখালী পৌরসভার সংযোগ সেতুটি প্রায় ৩ যুগ আগের। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
চুম্মা পাড়ার বাসিন্দা শামিমা সুলতানা মুন্নি দৈনিক দেশ বার্তা কে বলেন, ‘ব্রিজটি অত্যন্ত বিপদজনক হওয়ায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। বর্তমানে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে ।
স্থানীয় বাসিন্দা সাকিবুর রহমান আরিয়ান বলেন, ‘সেতুটি দিয়ে চলাফেরা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে এক রিকশাচালক ব্রিজটি পার হওয়ার সময় রিকশাসহ খালে পড়ে যান। ভেঙে যায় তার জীবিকার একমাত্র অবলম্বন রিকশাটি। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী দৈনিক দেশ বার্তা কে বলেন, ‘চুম্মা পাড়া ব্রিজ দিয়ে পৌরসভার লোকজন বেশিরভাগ চলাচল করেন। ব্রিজটি নতুন করে স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। কিছুদিন আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে লোকজন এসে মাটি পরীক্ষা করে গেছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভুঁইয়া দৈনিক দেশ বার্তা কে বলেন, ‘সেতুটি আগে কোন সংস্থার অধীনে সেটা দেখতে হবে। আপনি ভালো একটি তথ্য দিয়েছেন। আমি আগামীকাল ব্রিজটি পরিদর্শন করতে যাবো।