ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টারঃ কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুহুরি পাড়ার বিসিক এলাকার উঠনির মাথা এলাকার মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে আব্দুল খালেক এর অভাবের সংসারে ইয়াবা যেন আলাদীনের চেরাগ। কিছুদিন আগেও ছিল স্বল্প আয়ের দিনমজুর, ছিল একজন সামান্য ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি, দৈনিক কাজ করে যা উপার্জন করতো তা দিয়ে কোনরকম চলতো অভাবের সংসার।হঠাৎ ইয়াবার ছোঁয়ায় ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে রাতারাতি বনে যান কোটিপতি। চলাফেরা করে ৫ লক্ষ টাকার দামি বাইক হাকিয়ে রাজ পুত্রের মতো।
স্থানীয়রা জানান, জেল ফেরত ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী আবদুল খালেকের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার মানুষ। একদিকে নিরবে ইয়াবা ব্যবসা অন্যদিকে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজী এবং ইয়াবা সেবন সহ নিরহ লোকদের মারধর করে প্রভাব বিস্তার করছে।তার অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছে তবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেনা। এছাড়া আবদুল খালেকের সাথে সম্প্রতী নতুন করে এলাকার অনেকে উঠতি বয়সের তরুন মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে, তাই দ্রুত এই কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শহরের পার্শ্ববর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক উঠনি এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে আবদুল খালেক ৪/৫ বছর আগেও এলাকায় সামান্য কারেন্ট মিস্ত্রির কাজ করতো পরে টমটম চালিয়ে কোন প্রকার চলতো কিন্তু এখন সেই খালেকের রয়েছে দুটি বিলাসবহুল বাড়ি,৬টি সিএনজি, পিএমখালীর ছনখোলায় ও ঝিলংজার খরুলিয়ায় ১ কোটির উপরে জায়গাজমি, ৩টি নোহা গাড়ি,৮টি টমটম,রয়েছে অবৈধ অস্ত্র, নিরহ মানুষকে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে ২০টি খালি স্ট্যাম্প, ৩ টি দোকান, ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকাদামের মটরসাইকেল সহ নামেবেনামে সম্পত্তি।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিসিক এলাকা থেকে সর্ব প্রথম চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আটক হয় এই আবদুল খালেক পরে দীর্ঘ দিন জেল খেটে এসে আবারো পুরোদমে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা।কিছুদিন আগেও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তার কল্যাণে এখন কোটি পতি বনে গিয়ে এলাকার মানুষকে সীমাহীন অত্যাচার করছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া সে কোন মানুষকে তল্লাসীর নামে হয়রানী,মানিব্যাগ থেকে জোর পূর্বক টাকা ছিনতাই,মোবাইল ছিনতাই,জমি দখল করতে ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসাবে ব্যবহার হওয়া সহ এমন কোন অপরাধ নেই আবদুল খালেক করছেনা। পিএমখালীর ছনখোলা এলাকায় একটি জমিতে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে আটক হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খেটে এসে আবারো তার বাহিনি দিয়ে শুরু করেছে নানান অপকর্ম।
জানা যায়, খালেকের ২ স্ত্রীর এর মধ্যে এক স্ত্রীর বাড়ি টেকনাফ নাজির পাড়া,সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা এনে কক্সবাজার জেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে সে। তার এ কাজে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করে তার মা বোন সহ নিকট আত্বীয় স্বজনরা। আর কেউ সামান্য প্রতিবাদ বা কিছু করলেও ব্যাপক মারধর সহ সম্মানহানী করে। সম্প্রতী আবদুল খালেকের ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কারাগারে আছেন স্থানীয় এক হাফেজ হারুন। এলাকায় এসে তদন্ত করলে বুঝা যাবে বর্তমানে এলাকার প্রায় ৩০/৪০ জন উঠতি বয়সের ছেলে আছে তার ইয়াবা পরিবহণ করে বিনিময়ে তারা বিপুল টাকা পায়।আবার এই বাহিনীর নাম দিয়েছে মধু পোক বাহিনী, ফলে এলাকার ছেলেরা আর লেখাপড়া না করে এখন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
সচেতন মহলের দাবী,নিকটতম র্যাব অফিস হওয়ার পরও এতো অপরাধ ও ৪ টি মামলার আসামী বিসিক এলাকার এই শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়িকে আটক করছেনা ? তাই দ্রুত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবদুল খালেক সহ তার সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী।