এস আল-আমিন খাঁন, বরিশাল ব্যুরো।
উন্নয়নের ধুয়া তুলে শহরের সার্কিট হাউসসংলগ্ন ঝাউবনের গাছ কেটে ফেলায় রোববার(২৩-জানুয়ারি-২০২২ ইং) তারিখ সকালে পটুয়াখালী সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অদ্ভুত প্রতিবাদ ও আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে ঝাউবন গিয়ে শেষ হয়।
আনন্দ মিছিলের স্লোগান ছিলো, ঝাউবনে আর গাছ নাই, আনন্দের আর সীমা নাই’, ‘আর চাই না ছায়ায় ঘেরা গাছ, পিচের রাস্তায় হাঁটবো বারো মাস’, ‘উন্নয়নের রাস্তায়, গাছ কাটো সস্তায়’, ‘বৃক্ষহীন এই শহরে, অক্সিজেন খুঁজবে সিলিন্ডারে’- এসব স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেচে-গেয়ে, আনন্দ মিছিল ও পথচারীদের মাঝে মিষ্টি বিতরন করে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করেছে পটুয়াখালীর শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ ভিন্নধর্মী প্রতিবাদে অংশ নেন। মিছিল শেষে মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন ও ল্যাম্প পোস্টের আলো যাতে সরাসরি রাস্তায় পড়ে তাই ঝাউবনের গাছগুলোকে কেটে ফেলা হয়েছে, এতে আমরা খুব খুশি। শীতের সময় কত মানুষ কষ্ট করে। গাছ কেটে আমরা পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়িয়ে সবার শীতের কষ্ট লাঘব করতে পারি।কবিতার মধ্যে আছে কানা বগির ছা। এই বগি গাছে বাস করত তাই কানা হয়ে গেছে। গাছ কেটে সেখানে লাইট পোস্ট বসালে তবে আর বগি কানা থাকত না। লাইট পোস্টের নিচে বসে কত মানুষ বিদ্বান হয়েছে। কিন্তু গাছতলায় কেউ বিদ্বান হতে পারেনি। তাই বেশি করে গাছ কেটে উন্নয়ন করতে হবে। এখন থেকে এই ঝাউবনের নাম হবে ঝাউকাটা বন বা কাটা বন।
উল্লেখ্য,পটুয়াখালী সার্কিট হাউস এলাকায় ফোরলেন রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গত এক সপ্তাহে অর্ধশতাধিক ঝাউ গাছ কেটে ফেলে পটুয়াখালী পৌরসভা। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।