এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর পৌরসভার ২ নং বাঁধঘাট এলাকায় গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪টি ষ্টেশনারীর দোকান ও ১টি হোটেল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২১-জানুয়ারি-২০২২ ইং) তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের সময় শহরের ২ নং বাঁধঘাট এলাকার ৯৭ নং জৈনকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
আগুনে পোড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন, সৈয়দ কামাল (স্টেশনারি), মহিউদ্দিন সোহাগ (স্যানিটারি ও গ্যাসের দোকান), শাখাওয়াত হোসেন (স্টেশনারি), মন্নান গাজী (হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে), জুয়েল (স্টেশনারি), তারা বলেন, জীবনের সব সঞ্চয় টুকু ছিলো এই ব্যবসা এমনকি এনজিও থেকে লোন নিয়েও চালাতেন ব্যবসা। এখন কিভাবে কিস্তি দিবো আর কিভাবে সংসার চালাবো বুঝতে পারছি না।জীবনের তিলতিল করে গড়ে তোলা শেষ সম্বল টুকু আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেলো। কিভাবে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিবো বুঝতে পারছি না। সরকার যদি আমাদের সাহায্য করতো তবে কোনমতে পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারতাম বলে জানান।
শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌরসভা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাড. সুলতান আহমেদ মৃধা, সমাজ সেবক কাওছার মৃধা, সাবেক ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতারা। এছাড়াও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন আঁকন, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিজামুল হক নিজাম এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের শান্তনা দেন এবং ক্ষতিপুরনের বিষয়ে বিভিন্ন আশ্বাস প্রদান করেন।
এবিষয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রাত ২.৫৮ মিনিটের সময় ফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রন আনা হয়। বিদ্যুৎ এর সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে তবে সঠিক সুত্রপাত কি তদন্ত করা হলে জানা যাবে।