জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি: চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ নদীর ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শত বছরে দু’তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন বৈলতলী ডেবারকুল মোহাম্মদ শাহ জামে মসজিদ ও কবরস্থান। ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্দন করেছেন স্থানীয়রা।
কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নান্দনিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে শঙ্খ নদীর সিসি বক সরে গিয়ে গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে নদীর বুকে। প্রতিনিয়ত নদীতে ধসে পড়ছে শঙ্খ নদী পাড়ের মাটি। মসজিদ সংলগ্ন শঙ্খ নদীর পাড়ে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নানন্দিক মসজিদ ও কবরস্থান। শুধু মসজিদ নয় হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী বশরত নগর রশিদীয়া মাদ্রাসা, কবরস্থান, নাথপাড়া, দ্বীপপাড়া। নদী ভাঙ্গন রোধে প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সম্প্রতি মসজিদের পাশের্ব শঙ্খ নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েক’শ জিও ব্যাগ সংগ্রহ করে নদীতে ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ এগিয়ে চলছে। মসজিদ এলাকা সংরক্ষণ করতে দুই হাজারের অধিক জিও ব্যাগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মসজিদ ও মাদ্রাসা রক্ষায় ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ড্রেজার দিয়ে শঙ্খ নদী থেকে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, ফলে নদীতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, নদী ভাঙ্গনে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন, সেটি আসলে কাজ শুরু হবে। গত ১৮ জানুয়ারী একটি দল পরিদর্শন শেষে নদীর পাড়ে আড়াই’শ মিটার নদীর পাড় ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ডাম্পিং করে কাজটি করা হবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, বৈলতলী ইউনিয়নের শঙ্খ নদীর বশরত নগর, ডেবারকূল, নাথপাড়া ও দ্বীপপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গায় নদী রক্ষায় সিসি বক ও জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সম্প্রতি যে সকল এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, সে সব এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে গত ২১ জানুয়ারী বাদে জুমা মসজিদ সম্মুখে স্থানীয়রা মসজিদ ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে মানববন্দন করেন।