চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে জন্মসনদ প্রদানের শর্ত পূরণ না করে সনদ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় গত ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে
ডুলাহাজারা ইউপি কার্যালয়ে এসে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার রমজান আলী তার দলবলসহ ইউপি সচিব হুমায়ুন কবির ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে
ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়।
ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশের উপর হামলার এ ঘটনায় ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে নব-নির্বাচিত মেম্বার রমজান আলীকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৫-৬জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের করার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ধরতে পুলিশ কেন গড়িমসি করছে তা বোধগম্য হচ্ছে না বলে বাদীর অভিযোগ।
এদিকে, ডুলাহাজারা ইউপি সচিব হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়া উপজেলা নেতৃবৃন্দরা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি চকরিয়া উপজেলার নেতৃবৃন্দরা ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবরা কর্মবিরতীসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও তারা হুশিয়ারী দেন।
সচিবের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানিয়ে বিবৃতি জানিয়েছেন, বাপসা চকরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ফয়সাল উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি নুরুল কবির, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আলম, সালাহ উদ্দিন কাদের, সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি পারভেজ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মন্টু কুমার বডুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল বাহার, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল করিম শিমুল, শহিদুল ইসলাম, অজয় কুমার রুদ্র, নুরুদ্দীন সোহেল, এরফানুল হক, হুমায়ুন কবির, আবদুর রজ্জাক, মো: শহিদুল্লাহ, কাউচার জন্নাত কুমকুম।