বর্ণহীন প্রকৃতিতে বর্ণ দান করলো বসন্ত। প্রকৃতিতে ঋতু রাজের পর্দাপন। ফিরে এসেছে বসন্ত। পরিবেশে নানান রঙ্গের ছোঁয়া। দক্ষিণা বাতাসে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কুহ-কোকিলে মিষ্টি কন্ঠে আজ বসন্তের আগমনী সুরেলা গান। ভ্রমর করছে খেলা ফুলের সাথে। ফুটেছে শিমুল। পোশাকহীণতার রিক্ততা দূর করে রক্ত মাখা শিমুল কুড়ি এসেছে। প্রতিটি পাখি মুগ্ধ এই সৌন্দর্যে। এসব কিছু জানান দিচ্ছে আজ এসেছে ফাগুন , এসেছে রঙিন বসন্ত। মিষ্টি মধুর পরিবেশে শুধু শান্তির বাতাস। ফাগুনের হাত ধরে ঋতুরাজের আগমন। এই বর্ণিল সাজ শুধু ঋতুরাজকে অভিনন্দন, অভিবাদন জানানোর জন্য। বসন্তের আগমনে প্রকৃতি তার যৌবন ফিরে পেয়েছে। লেগেছে দোলা মনপ্রাণে। শীতের ঝরে পড়া পাতার শূন্যস্থান পূরণ করবে বসন্ত। কোকিল অনেক খুশী। রঙিন ভুবনে গাইছে কুহ – কুহ সুরেলা গান। নানান রঙ্গের ফুল ফোটে বসন্তে। বসন্ত ছাড়া তারা তাদের আত্মপ্রকাশ ঘটাবে না বলে অভিমান করে থাকে। বসন্ত যেন মানব মন আর প্রকৃতির রূপ প্রকাশের লীলাখেলা।
সকল দুঃখ কষ্ট, শীতের শুষ্কতাকে পিছনে ফেলে বিভাজন ভুলে সুন্দর সাবলীল বার্তা দিয়ে আগমন ঘটায় বসন্ত। উপস্থিতি মুক্ত বাতাসের।
তাইতো কবির ভাষার – “ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত”
সকল বয়সী মানব মানবী বসন্তের আনন্দে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানাতে তাদের বিন্দুমাএ কষ্ট হবেনা।বসন্তকে বরণ করতে তাদের ধুম আয়োজন চলবে।শীত বিরক্ত হয়ে পালাবে। বসন্ত হানা দিবে ফুলেল বাগান হয়ে।ফুলেল পরশ আর সৌরভে হারিয়ে যাবে শীতের জরাজীর্ণতা।
বাংলাদেশের প্রকৃতি বৈচিত্র্যময়। প্রতিটি ঋতুতে বৈচিত্র্য সৌন্দর্য। তবে বসন্তের সৌন্দর্য উপমাহীন। এর সাথে অন্য ঋতুর তুলনা করা বড় ধরনের বোকামি।এমন ফুলেল সময় আর কখনো দেখা যায়না।শীতের জীর্ণতা শেষে প্রকৃতিতে যে উষ্ণতা আসে সেই উষ্ণতায় মানুষের মনও পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে জেগে উঠে নতুন আহ্বানে।
এই ফাগুনকে কেন্দ্র করে হবে নানা আয়োজন। সরাসরি এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা আদান-প্রদান হবে।
প্রিয়জনের জন্য মন থেকে একটা আবেদনি বার্তা আসবে বারাবার – ” এই বসন্তে হোক না দেখা”
শিমুলের রক্তমাখা লাল দিয়ে রঙিন হোক সকলের আগামীর পথচলা,ফুলেল শুভাশে মুখরিত হোক জীবন। বারবার ফিরে আসুক বসন্ত।
“আজ বসন্ত মনেপ্রাণে- প্রকৃতিতে”
নাহিদুল আলম শুভ।
অনার্স ১ম বর্ষ, সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম।