চাঁদপুর প্রতিনিধি :
ফার্মাসী কাউন্সিল অফ বাংলাদেশ (পি.সি.বি), ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস ফর হেল্থ (এম.এস.এইচ) এর সার্বিক সহযোগীতায় চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং নাটোর জেলায় মডেল মেডিসিনশপ স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ নবম ব্যাচের ১২ দিনের ট্রেনিং সফল ভাবে শুরু হয়েছে।
এই ধরনের অনলাইন র্ভাচুয়াল প্রশিক্ষণ বাংলাদেশে এই প্রথম বৃহত্তর আকারে শুরু হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর অর্থায়ন করছে ব্রিটিশ সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)।
চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং নাটোর জেলার ৩৫ জন গ্রেড সি-ফার্মেসী টেকনিশিয়ানের উপস্থিতিতে উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করছেন এম.এস.এইচ এর ট্রেনিং মনিটর মো: রূহুল্লাহ সিদ্দিকী (বিএইচবি প্রকল্প)। তার যোগ্য পরিচালনায় সকল ফার্মাসিস্টরা মুগ্ধ।
এই ট্রেনিং-এ শুভেচ্ছা বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফার্মাসী কাউন্সিল অফ বাংলাদেশের সম্মানিত সচিব জনাব মুহাম্মদ মাহবুবুল হক।
তিনি বলেন, সরকারী যে সকল আইন রয়েছে তা অণুসরন করে একটি ফার্মাসী পরিচালিত হবে। এবং এই ট্রেনিং থেকে শিক্ষা গ্রহন করে তা অণুসারে ফার্মাসী পরিচালিত হলে ভবিষ্যতে ফার্মাসী ব্যবসায় অনেক উন্নতি করতে পারবে।
এছাড়াও চাঁদপুর জেলার বিসিডিএস এর সভাপতি মো: মোস্তফা রুহুল আনোয়ার বক্তব্য প্রদান করেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট টিম লিডার মো: নুরুজ্জামান (এম.এস.এইচ) এবং সম্মানিত রিসোর্স পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর এসোসিয়েট প্রফেসর ড. শেখ জহির রায়হান।
প্রথমদিন মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, ফার্মাসিস্ট কোড অব ইথিকস এবং মডেল মেডিসিন শপে গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসী টেকনিশিয়ান) দায়িত্ব ও কর্তব্য। অ্যামেরিকান ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশনের (অ্যামেরিকান ফার্মাসিউটিক্যাল এসোসিয়েশন) সদস্য পদের মাধ্যমে ২৭ অক্টোবর ১৯৯৪ সালে ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অফ ইথিকস গ্রহণ করা হয়।
ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অফ ইথিকসগুলো হচ্ছে: একজন ফার্মাসিস্ট, তার ও রোগীর মধ্যেকার অর্জিত সম্পর্ককে সম্মান করবেন; একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর প্রতি যত্নবান, দয়াশীল ও বিশ^স্ত থেকে দায়িত্ব পালন করবেন; একজন ফার্মাসিস্ট প্রতিটি রোগীর স্বাধীনতা ও মর্যাদাকে সম্মান করবেন; পেশাজীবী হিসাবে একজন ফার্মাসিস্ট সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কাজ করবেন; একজন ফার্মাসিস্ট তার জ্ঞান ও পেশাজীবী দক্ষতা বজায় রাখবেন, তার সহকর্মী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মূল্যবোধ ও সক্ষমতাকে শ্রদ্ধা করবেন, একজন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সামাজিক প্রয়োজনে সেবা প্রদান করবেন, এবং একজন ফার্মাসিস্ট স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত পণ্য/উপকরণ/সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করবেন।
গ্রেড ‘সি’ ফার্মাসিস্টদের (ফার্মেসী টেকনিশিয়ান) বেশ কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা সংক্ষিপ্ত ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে: ক. সরকার অনুমোদিত স্ট্যান্ড্যার্ড অনুযায়ী মডেল মেডিসিন শপ পরিচালনা করা।
খ. গুড ডিসপেন্সিং প্রাকটিস (এউচ) অনুসরণ করে মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ বিক্রয় করা। গ. মডেল মেডিসিন শপে ওষুধ ডিসপেন্সিং-এর সময়ে কাউন্সিলিং করা। ঘ. মডেল মেডিসিন শপে ওষুধের মজুদ ব্যবস্থাপনা করা। ঙ. ক্রেতাকে ওষুধ দেয়ার সময় নিয়ম মেনে লেবেলিং করা।
চ. ঔষধ প্রশাসনের ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা। ছ. ঔষধ প্রশাসনের নোটিসে প্রদত্ত নিদের্শনা মেনে চলা এবং তা সংরক্ষন করা। জ.ঔষধ প্রশাসন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ করলে তা বিক্রয় না করা। ঝ. ঔষধ প্রশাসনের নিদের্শনা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ব্যবস্থাপনা করা। ঞ্চ.অননুমোদিত, নকল, ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয় না করা। ট. মডেল ফার্মেসীতে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট এর সহকারী হিসাবে কাজ করা।