জেপুলিয়ান দত্ত জেপু,চকরিয়াঃ
বসতভিটা দখল নিতে পিতাকে মারধর।পরে পিতাকে আইনীভাবে ফাঁসাতে উল্টো পিতার বিরুদ্ধে পার্বত্য ফাঁসিয়াখালী পরিষদের গ্রাম আদালতে পুত্র মোঃ আলী মামলা দায়ের করেছেন।যার মামলা নং-৫৮/২২ইং।
মামলার বাদী-পার্বত্য ফাঁসিয়াখালী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের লাইল্যারমার পাড়ার বাসিন্দা আবু তাহেরের পুত্র।
বাদীর দায়েরকৃত মামলার আসামীরা হলেন,বাদীর পিতা-আবু তাহের,বোন-কমরুন নাহার,ছোটভাই-হান্নান,বোন-জোসনা আক্তার পাখি,গর্ভধারণী মা-জাহানারা বেগম ও একই এাকার বাদশা মিয়ার পুত্র আব্দুল মতলব।
ভুক্তভোগি আহত পিতা আবু তাহের প্রতিবেদক জানান,আমার জন্মদাতা মেঝ ছেলে মামলার বাদী মোঃ আলীকে বিয়ে করার,পরপরই সে আমার থেকে আলাদা হয়ে বসতভিটার একপাশে ঘর করে বসবাস করে আসছে। এমতাবস্থায় আমার মেয়ে জোসনা আক্তার পাখি বিয়ের কথা ঠিক হয়।এসময় আমার পর্যাপ্ত টাকা না থাকায়,আমার কোন ছেলে থেকে সহযোগিতা না পেয়ে,আমার ছোট ছেলে আব্দুল মান্নানকে ২কানি বসতভিটা বিক্রি করি।বিক্রিত বসত ভিটার লাগোয়া ১কানির মত জায়গায় বাদী বসত করছে। এখন মামলার বাদী তার বসতভিটার লাগোয়া আমার বিক্রিত সবটুকু জায়গা দখল করে ঘেরাবেড়া সহ ভিটায় থাকা গাছপালা কিছু কাটছে। বাকী কিছু কাটার সময়,গত ২১ ফেরুয়ারী সকাল আমি বাঁধা দিই। বাঁধা দেওয়ার সাথে-সাথে বাদীর পূর্ব পরিকল্পিত তার ভাড়াটিয়া স্বশস্ত্রবাহিনীরা এগিয়ে আসে।বাহিনী দেখামাত্র আমার ছেলে মামলার বাদী মোঃআলী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য বেদড়ক মারধর করে।এক পর্যায়ে আমি আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে গেলে,আমাকে দা দিয়ে জবাই করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় বাড়ীতে থাকা আমার অন্যান্য ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে এসে আমার প্রাণ রক্ষা করেছে।রক্ষা ফেলেও আমি গুরুত্বর আহত হওয়ায় আমাকে হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে,সে গাড়ীতে উঠাতে বাঁধা দেয়। এসময় আমার ছেলে হান্নান সহ দুই মেয়েকেও মারধর করেছে। তাদের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন আসায় আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। না হলে আমি আহত রক্তাক্ত অবস্থায় মারা যেতাম।বর্তমানে আমি জীবিত থাকায় আমার বসতভিটা এখনো কোন ছেলে-মেয়েকে একেবারে ভাগবন্টন করে দিইনি। এরমধ্যে মামলার বাদী আলী,তার প্রাপ্যের তিনগুন জায়গা দখল নিতে,এপর্যন্ত কয়েক দফা আমাকে মারধর করেছে।এখন আমাকে মারধর করেও ক্লান্ত হয়নি। আইনীভাবে আমাকে ফাঁসাতে,নিজেকে র্নিদোষ প্রমাণ করার লক্ষে,স্থানীয় প্রভাবশালী দলীয় কিছু লোকজনের প্ররোচনায় আমি সহ আমার বৃদ্ধ সহর্ধমিনী তার মা ও তার ভাই,বোন সকলকে আসামী করে গ্রাম আদালতে একখানা মামলা দায়ের করেছে। এ অবস্থায় তিনি সংশ্লিষ্ট ইউপি মেম্বার,চেয়ারম্যান সহ উপজেলা ও জেলার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।