জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বাগিচাহাট এলাকায় টোকেন দিয়ে টলিগাড়ি থেকে মাসওয়ারা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ মার্চ দুপুরে টলি চালক হেলালকে মো. রাশেদ নামের এক ব্যক্তি একটি টোকেন দিয়ে তার নিকট ১ হাজার টাকা দাবি করে। হেলাল জানান, এ রাশেদ হাইওয়ে পুলিশ ও বন বিভাগের নাম ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে মাসিক ১ হাজার টাকা টোকেন দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। টাকা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করে। হেলাল ইতিপূর্বে ডেকেরোশনের শ্রমিক হিসেবে টলি চালাতো। “টোকেনে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, কাঠ বহন নিষেধ। মার্চ-২০২২, নিচে নামের ঘরে চালক শব্দটি হাতে লিখে দিচ্ছে। সবার নিচে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী”। এ টোকেন ব্যবহার করে রাশেদ নামের ব্যক্তিটি দীর্ঘদিন ধরে মালামাল বহনকারী যানবাহন থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে বলে চালকদের অভিযোগ। রাশেদ বাগিচা হাটের পশ্চিম পাশে আবদুল সালাম ফকিরের ছেলে বলে জানিয়েছেন টলি চালক হেলাল। এ ব্যাপারে রাশেদের সাথে কথা হলে, সে বলে হাইওয়ে পুলিশ থেকে অনুমোদন নিয়ে এ টোকেন ব্যবহার করে টাকা আদায় করছে। এ ব্যাপারে দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তিনি রাশেদ নামে কাউকে চিনেন না। এ ধরণের টোকেন ব্যবহার করা সম্পর্কে জানান না বলে জানান। দোহাজারী বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ফরেষ্টর মাহবুল আলম বলেছেন, চন্দনাইশের দোহাজারী থেকে মোজাফ্ফরাবাদ পর্যন্ত বাগিচাহাটসহ ১৫টি পয়েন্টে তাদের চেক পোষ্ট রয়েছে। তবে সড়কে গাড়ী আটকানোর সুযোগ তাদের নেই। বাগিচাহাট এলাকায় তাদের একজন হেডম্যান তথা ভিলেজার শাহাবুদ্দীন থাকে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১ বছর ধরে এ রেঞ্জে চাকরী করছেন। রাশেদ নামে কাউকে চিনেন না এবং এ ধরণের ঘটনার সাথে বন বিভাগের কেউ জড়িত নয় বলে তিনি দাবি করেন। তবে তাদের সাথে আর কারা কারা রয়েছে বিষয়টি খুঁজে রেব করা দরকার বলে জানিয়েছেন।