জেপুলিয়ান দত্ত জেপু,চকরিয়াঃ
চকরিয়ায় ডুলাহাজারা ইউপির মালুমঘাটে হাসিনাপাড়া রাস্তার মাথায় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার প্রধান সড়কে গত ৮ ফেরুয়ারী ঘাতক পিকগাড়ী চাপায় প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের ৬ ছেলে অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, দিপক সুশীল, চম্পক সুশীল, রক্তিম সুশীল,স্মরণ সুশীল নিহত হয়।এতে আহত হলেন,বোন মুন্নি সুশীল ও হীরা সুশীল,প্লাবন সুশীল।
মঙ্গলবার (২২মার্চ) জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় দুপুরের নাথপাড়ায় জায়গা সহ ৮টি ঘর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রাহাত-উজ জ্জামান, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, নিহতদের পরিবারের পক্ষে দূর্ঘটনায় বেঁচে থাকা ছোট্ট ছেলে প্লাবন সুশীল ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দক্ষিণ পাশে ১৬ শতক সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করা হবে। এই জমিতে নিহত পরিবারের ৮সদস্যের জন্য ৮টি সেমিপাঁকা ঘর নির্মাণের করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরে দুটি বেডরুম, বারান্দা, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর রক্ষিত থাকবে। নির্মিত প্রতিটি ঘরের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন,সড়ক র্দূঘটনায় একই পরিবারের ৬ভাই নিহত হওয়া ঘটনা নজিরবিহীন। তাই অসহায় এই পরিবারগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়া নিহত পরিবার বর্তমামানে যে স্থানে বসবাস করে। তা বনবিভাগের জায়গা। তাই জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে তাদেরকে স্থায়ী একটি জায়গায় পূর্ণবাসন করা হবে। স্যারের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারের সম্মতিক্রমে এই জায়গাটি নির্ধারন করা হয়েছে।শীঘ্রই ঘর নির্মাণের কাজ শেষ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করতে পারব।