আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এবারের এই দিবসের প্রতিপাদ্য” ‘ভূগর্ভস্থ পানি: অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব’।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহিত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক ভাবে এই পানি দিবস পালিত হয়। ১৯৯২ সালের রিওতে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পাদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এই দিবসের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।
পানি একটি সম্পদ যা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু শুধু এভাবে প্রতিবছর বিশ্ব পানি দিবস পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এই দিবসে মানুষ পানি ব্যবহারে সঠিক পদ্ধতি বা অপচয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার কিংবা সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে।
কারণ ২০২৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে আশংকা করছেন গবেষকরা। এর প্রধান কারণ হলো উত্তোলিত পানির ২৫ শতাংশই আমরা অপচয় করি দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ মিটার করে নিচে নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের অনেক মানুষ।
তাই পানি ব্যবহারে কোন খাম খেয়ালি করা যাবে না। এই বিষয়গুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারে ভূমিকা রাখা জরুরি। এবং সরকারের সঠিক পদক্ষেপ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতাই পারে পানির অপচয় রোধ করতে।