ইসমাইল হোসেন চৌধুরী
হালকা বৃষ্টি হলেই প্রায় একসপ্তাহ পানিতে ডুবে থাকে নগরীর বাকলিয়া থানাধীন কে বি আমান আলী সড়কের পুলিশবিট অংশটি। সড়কের বাকলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পর থেকে পুলিশবিট হয়ে মাজার গেইট পর্যন্ত অংশটি হালকা বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ।
গতকাল শনিবার(৭ মে, ২০২২ ইং) সকালে সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, সড়কের মাজার গেইট থেকে পুলিশবিট অংশটি হাঁটু পানিতে ডুবে আছ। পানির উপর দিয়েই বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন অফিসগামী যাত্রীরা।
এসময় স্থানীয়রা জানান, অল্প বৃষ্টিতেই সড়কটি ডুবে যায়। এটি যেন সড়কের নিত্যদিনের চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যাওয়া সময় সমস্যায় পড়তে হয়। সড়কে পানি দেখলে রিক্সা চালকরা বেশি ভাড়া দাবি করে। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হয় তাঁদের। সকালে অফিসগামী যাত্রীদের পড়তে হয় বিপাকে। ভাড়া বৃদ্ধির সাথে সাথে সময়ও লাগে বেশি। বাজারে যাওয়াসহ নিত্যনৈমিত্তিক কাজে যেতেও তাঁরা এ সড়কটি ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো সড়ক নেই। তাই তাঁদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
তাঁরা আরো জানান, কাউন্সিলর আসে, কাউন্সিলর যায়। কিন্তু তাঁদের জলাবদ্ধতা সমস্যার কোনো কূল-কিনারা হয়না। সবাই আশ্বাস দিয়ে যান। তাঁরাও অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু সমস্যাতো সমাধান হয়ই-না, বরং তা আরো বাড়তে থাকে বলে হতাশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জাহেদুল আলম বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। একবার জমলে একসপ্তায়ও তা আর যায়না। তখন মনে হয় এটি রাস্তা নয়, খাল।’ এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কেউ যেনো কিছু দেখেনা। এর বেশি কিছু বরতে চাইনা। বেশি বললেতো আবার সমস্যা!’
এ বিষয়ে চসিক স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া) শহিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এখন শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রতিটি খালের মুখে বাঁধ দেয়া আছে। তাই পানি নামতে সময় লাগে। বাকলিয়া এলাকাটি শহরের ঢালুতে অবস্থিত বলে উঁচু এলাকার সব পানি বাকলিয়ার উপর দিয়েই কর্ণফুলীতে গড়িয়ে পড়ে। তবে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সমস্যাটা কমে আসবে।’
মেগা প্রকল্পের কাজ কখন শেষ হবে? – প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘এ প্রকল্পতো আমার অধীন নয়। এ প্রকল্পের সাথে সিডিএ চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনী এবং মেয়রসহ বড় বড় লোকজন জড়িত। আমি কিভাবে বলব?’