জেপুলিয়ান দত্ত জেপু,চকরিয়াঃ
চকরিয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের অনুমোদনহীন ব্যাঙেরছাতার মত বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক প্রতিষ্ঠান রোগীদের কাছ থেকে গলাকাটা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
চকরিয়া উপজেলাসহ সারা দেশে জেলা,উপজেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরীক্ষাগার। যাদের নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন ও যথাযত পরিবেশ। এরই প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এর প্রেক্ষিতে ২৯ মে (রবিবার) চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনায় উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিদর্শন ও অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ২ টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ৩টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার সিলগালা ও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব,মোঃ রাহাতুজ্জামান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইফতেখারুল ইসলাম ও ডাঃ সাইমুল ইসলাম, সেনিটারি ইনস্পেক্টর এবং পুলিশ সদস্য বৃন্দ । এ অভিযানে নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার
একুশে ডায়াগনস্টিক সেন্টার,সেন্ট্রাল হাসপাতাল, বদরখালী মর্ডান ডায়াগনোস্টিক সেন্টার,বদরখালী ল্যাব হাউস,ও বদরখালী জেনারেল হাসপাতাল ল্যাব।
এসব প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গুলোকে পরবর্তী নির্দেশনা পর্যন্ত বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত বলেন,চকরিয়ায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল। এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযান টিম মাঠে থাকবে। এছাড়া চকরিয়া ম্যাক্স হাসপাতাল, সিটি হাসপাতাল, শেভরন হাসপাতালকে উপযুক্ত ডক্যুমেন্টস দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার / ল্যাবগুলোতে পরিদর্শন চলতি সময়েই করা হবে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত জানান,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই অভিযান পরিচালনায় স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ একযোগে কাজ করেছে। তবে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে লাগামহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগের এই অভিযান অব্যাহত রাখার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে গত ১৬ মে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাহাতুজ্জামানের নেতৃত্বে চকরিয়া সিটি হাসপাতাল থেকে মাইনুদ্দিন নামের এক ভূঁয়া ডাক্তার গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক বছরের জন্য জেল হাজতে প্রেরণ করেন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণ করা হয়।