মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ, ব্যুরো চীফ,
গেল এপ্রিলে ঢাকায় ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনার পর আশায় বুক বাঁধেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) অস্থায়ীভাবে কর্মরতরা। সেই আলোচনার প্রেক্ষাপটে এবার তিনটি সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি এ তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত শূন্য পদ পূরণের বিষয়ে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে গত ২৪ এপ্রিল একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই সভার সিদ্ধান্তসমূহ—
১. বিদ্যমান জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া, যোগ্যতা, বয়স ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চাকরি বিধিমালা ২০১৯ এর আলোকে শূন্য পদ পূরণ ও অস্থায়ীভাবে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
২. চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নিয়োজিত দৈনিক হাজিরাভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা ও প্রয়োজনীয়তা পুনঃপর্যালোচনা করে এর সংখ্যা হালনাগাদ করতে হবে।
৩. সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত যে সব শূন্য পদের বিপরীতে কোনো অস্থায়ী জনবল কর্মরত নেই অথবা কমসংখ্যক কর্মরত সে সব পদে দ্রুত সরাসরি নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চসিকের অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীসহ বিভাগীয় প্রধানরা। এরআগে গত ১৩ এপ্রিল ‘চসিকের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত শূন্য পদে নিয়োগে বিদ্যমান সমস্যা পর্যালোচনার’ জন্য একটি সভার ডাক দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এরপর চসিকের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে স্ব-স্ব বিভাগের তথ্য উপাত্ত, জনবল কাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক সভায় বসেন মেয়র রেজাউল। সবশেষ সম্প্রতি ‘শূন্য পদ পূরণে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের’ নির্দেশনা দিয়ে তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।