জেপুলিয়ান দত্ত জেপু,চকরিয়াঃ
চকরিয়ায় পবিত্র ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে চকরিয়ার কামাড় পাড়ায় টুং টাং শব্দে মূখরিত। চকরিয়ার পৌরশহর সহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখন কামাড় পাড়ায় কোরাবানি ঈদের পশু জবাইয়ের ধাতব সরন্জামাদি তৈরি করে নিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,চকরিয়া উপজেলার পৌরশহরের ওয়াপদা রোডে র কামারশালায় ভীড়। ভীড় এড়িয়ে কামারশালায় দেখা গেছে কর্মকারদের ব্যাস্ততা। এসময় তারা গ্রাহকদের সাথে কথোপকথনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
চকরিয়ার ওয়াপদা রোডের বাদল কর্মকারের কামারশালায় গিয়ে কথা বলে জানা গেছে,লোহার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার আগের তুলনায় ধাতব দা,বটি,ছুরি ইত্যাদির দামও একটু বেড়েছে। মধ্যম মানের লোহার তৈরি দা,বটি,ছুরির দাম কেজি প্রতি ৪৫০ টাকার মধ্যে। তবে রেল লাইনের বিট দিয়ে তৈরি ব্যবহৃত ধাতব যন্ত্রপাতির মূল্য অনেকটা বেশি। এ ধরণের ধাতব দা,বটির দাম ধরা হয়েছে কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা।
এদিকে, গ্রাম্য কামারশালায়ও কোরবানির পশু জবাইয়ে ব্যবহৃত ধাতব দা,বটি ও ছুরি নির্মাণের ধুম পড়েছে। সারা রাতভর কর্মকারেরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে এ সব যন্ত্রপাতি নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত কামারশালায় ভীড় জমাচ্ছে পশু জাবাইয়ের সরন্জামাদি তৈরির জন্য।
দগ্ধ চুল্লিতে লোহা গলিয়ে পিটিয়ে মনোমত সাইজ করে এসব ধাতব যন্ত্রপাতি তৈরির পর ওজন করে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়। এ সময় কামারশালার চারপাশে রাতদিন টুং টাং শব্দে মূখরিত সমগ্র এলাকা।
অনেকে পুরানো লোহা ও ব্যবহৃত পুরানো দা বা বটি সমন্বয় করে নিয়ে নতুন করে দা, বটি,ছুরি তৈরি করে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অনেক কম মূল্য দিতে হচ্ছে।
সব মিলিয়ে কর্মকার পেশার লোকগুলো অর্থনৈতিক ভাবে তেমন ভাল নেই। বছরের এ মৌসুমে কামারদের দিন ভাল কাটলেও সারা বছর দিন কাটাতে হয় অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে। সরকারি ভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে তাদের অভাব মোছন হবে বলে জানালেন স্থানীয় কর্মকার সম্প্রদায়ের লেকেরা।
ভারী শিল্প লোহার দাম বৃদ্ধির ফলে কর্মকার নির্মিত দা,বটি,ছুরি,পেষন বাটি,যাতাকল ও বিভিন্ন সরল যন্ত্র তৈরিতে খরচ পড়ে বেশি। এ খরচ পুষিয়ে নিতে ধাতব পণ্যের মূল্য বেশি নির্ধারণ করায় অনেক গ্রাহক পুরোন ব্যবহৃত দা, বটি ও ছুরি শান দিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে নিচ্ছে। এতে কর্মকারদের লোকসান গুণতে হবে অনেকটা।