বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুলাই ২০২২খ্রিঃ তারিখ ১১০৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানাধীন মিরসরাই বাসষ্টান্ড এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১টি বিদেশী পিস্তল এবং ০১টি ম্যাগাজিন উদ্ধারসহ ০৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো ০১। মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (৩০), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং-প‚র্ব দ‚র্গাপুর, থানা-জোরারগঞ্জ, জেলা- চট্টগ্রাম, ২। আব্দুল কাদের (২৯), পিতা- মৃত খোরশেদ আলম, সাং-মধ্যম মগাদিয়া, থানা- মীরসরাই, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ৩। মোঃ রবিউল হোসেন (৩০), পিতা- মোঃ আবুল হাসেম, সাং- বড়কন্তা, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমানে সাং- সাহেবগ্রাম, থানা- মীরসরাই, জেলা-চট্টগ্রাম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্র¿টি দিয়ে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। উক্ত অস্ত্রটি দিয়ে গত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানোর কাজে ব্যবহার করেছিল এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে ব্যবহার করত।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।