1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আনোয়ারার বদলপুরায় ফুটন্ত ফুলের আসরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন রাংগুনীয়া হযরত কাংগালী শাহ্ সড়কের উদ্বোধন পটিয়ায় জিরি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ(জিকু)’র ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি: মীর হেলাল চন্দনাইশ প্রেসক্লাব সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আবারো স্ব-পদে বহাল হলেন চেয়ারম্যান রাহিদুল ইসলাম বাবু এখনো স্বপদে বহাল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ এম মাহবুব চৌধুরী বোয়ালখালীতে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ চার সন্ত্রাসী আটক পটিয়ায় জিরি ইউপি সদস্যা নুর আয়েশা বেগম’র সার্বিক সহযোগিতায় টেকসই সড়ক উন্নয়ন গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে ঈর্ষনীয় – এনামুল হক এনাম

দক্ষিণ চট্টগ্রামের কৃষি ক্ষেত্রে যার অবদান আলহাজ্ব প্রয়াত খলিলুর রহমান মাষ্টার।

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩
  • ৭২৯ বার পড়া হয়েছে

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,চন্দনাইশ প্রতিনিধি:-
১৯১০ সালে পাঠানদন্ডী এক কৃষক
পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ইউসুফ মিয়া এবং মাতার নাম সোনা জান বিবি।
মাষ্টার খলিলুর রহমান স্থানীয়ভাবে যিনি খলিল মাস্টার নামে পরিচিত। অত্যন্ত সদালাপী এ স্কুল মাষ্টার বুঝেছিলেন চিরদু:খী এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে হলে তাদের খাদ্যভাব দূর করতে হবে।
তিনি সর্বপ্রথম ১৯৬৫ সালে চামুদরিয়া এলাকার ৭১ জন চাষীকে একত্রিত করে ২টি পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে ৮০ একর জমি আবাদ করেন এবং ভালো ফল পান। এতে উদ্ভূদ্ধ হয়ে ১৯৬৭ সালের মধ্যে প্রায় ১৬০০ চাষী এতে যুক্ত হন এবং জমির আয়তন দাঁড়ায় ২ হাজার একরেরও বেশি।

চির অজন্মা চামুদরিয়ার বুক সবুজের সমারোহে ভরে উঠে। যান্ত্রিক চাষের জাদুস্পর্শে জেগে উঠে মাটি, মেতে উঠে মানুষ।

বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ দল ১৯৬৮ সালে ফার্ম পরিদর্শন করে মন্তব্য করেন “চামুদরিয়ার ধানক্ষেত পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সর্বৎকৃষ্ট”।
পাকিস্তান অবজারভার-এর শিরোনাম “Chamudaria a pride IRRI project in ctg” ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সম্মেলনে কতিপয় বিজ্ঞানী পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা ইরি চাষের উপযোগী নয় বলে যে অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন। একজন সামান্য প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হয়ে, খলিল মাষ্টার তা মিথ্যা প্রমাণিত করেন।

১৯৬৮ সালের ২১ এপ্রিল চামুদরিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত চাষী সমাবেশে গভর্নর মোনয়েম খান খলিল মাষ্টারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “চামুদরিয়া ও গুমাই কৃষকদের যৌথ ভূমিকার অনুপম উদাহরণ” তিনি কৃষকদের সাফল্যে খুশি হয়ে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।

১৯৬৮ সালে ২৩ এপ্রিল দি ইষ্টার্ন এক্সিমিনার পত্রিকায় এক রিপোর্টে লিখা হয়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম ইরি চাষ উদ্বোধন করেন,এ সমিতি ও স্কীম নিয়ে তৎকালীন পত্র-পত্রিকায় বহু প্রশংসামূলক সংবাদ ও নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।তিনি কৃষকদের সুবিধার জন্য সরকারের মন্ত্রী এবং বিভিন্ন দপ্তরে পত্র লিখে কৃষি যন্ত্রপাতি বরাদ্দ এনে কৃষকদের সহায়তা করেন। তিনি চামুদরিয়া যান্ত্রিক কৃষি প্রবর্তক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন যার সভাপতি ও সহ-সভাপতি ছিলেন ডিপুটি কমিশনার ও সার্কেল অফিসার।

তিনি ৭১-৭৪ সাল পর্যন্ত পটিয়া থানা কেন্দ্রীয় সমবায় এসোসিয়েশন লিমিটেড এর ডিরেক্টর ছিলেন এবং ৭২ সালে সিরাজ-দৌলা রোডে অবস্থিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক এর ডিরেক্টর নিযুক্ত হন।
তিনি চামুদরিয়া প্রাইমারি স্কুল এবং হাই স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

মেট্রিকুলেশন পাস এবং স্কুল মাষ্টার অবিভক্ত বরকল ইউনিয়ন বোর্ডের শোভনদন্ডীসহ ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একজন প্রাইমারী স্কুল মাষ্টার হয়েও কৃষি ক্ষেত্রে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা অনুকরণীয়।
১৯৯৮ সালের ২১শে ডিসেম্বর ৮৮ বছর বয়সে এ মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট